রাস্তা খুঁড়ে রাখায় অসুবিধায় সাধারণ মানুষ। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সড়কে যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ির অভিযোগে আরামবাগ শহরের ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎবাহী তার পাতার কাজ আটকে দিল পূর্ত দফতর।
বৃহস্পতিবার লিঙ্করোডের বসন্তপুর মোড় থেকে তার বসানোর কাজ শুরু করে বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশন। তখনই মহকুমা পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট নিরঞ্জন ভড় ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। আটক করা হয় পাইপ, যন্ত্র, গাড়ি ইত্যাদি।
দুই দফতর থেকেই বিষয়টি জেলা এবং মহকুমা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মহকুমাশাসক লক্ষ্মীভব্য তানিরু দুই আধিকারিককে নিয়ে একপ্রস্ত বৈঠকও করেন। সংশ্লিষ্ট দুই দফতর থেকেই জানা গিয়েছে, মহকুমাশাসক দুই দফতরের আধিকারিকদের যুগ্মভাবে এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টির সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন। মহকুমাশাসক অবশ্য বলেছেন, “কোথাও কোন সমস্যা নেই। নিয়মমাফিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে।”
নিরঞ্জন ভড়ের অভিযোগ, “পূর্ত দফতরের জায়গা দিয়ে ভূগর্ভস্থ লাইন নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত কোনও পরিকল্পনা আমাদের জানানো হয়নি। আমরা অনুমোদনও দিইনি। রাস্তার কোন অংশ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন যাবে তার নির্দিষ্ট বিধি মানা হয়নি।” তিনি জানান, মহকুমাশাসক যৌথ পরিদর্শনের মধ্যে দিয়ে বিষয়টির সমাধানের কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, কোন অংশ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন যাবে তা চিহ্নিত করবে পূর্ত দফতরই। ফুটপাতের নীচে দিয়ে ওই লাইন করতে বলা হবে। সেইমতো প্রস্তাবও পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। আবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশন্যাল ম্যানেজার শুভেন্দু ভড় বলেন, “পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমাদের কাজের নক্শাও খতিয়ে দেখছি। সমস্যা থাকবে না।”
আরামবাগে দুই দফতরের কাজিয়া অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে কখনও রাস্তা সম্প্রসারণে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোকে কেন্দ্র করে, কখনও রাস্তার গায়ে খুঁটি পোঁতাকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে এ রকমই একটি কাজে বাধা দিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার নিরঞ্জন ভড়। অভিযোগ, সে দিন তাঁকে মারধরের করেছিলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তৎকালীন ডিভিশনাল ম্যানেজার এবং এক ঠিকাদার।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্তা এ দিনও অভিযোগের সুরে বলেছেন, ‘‘জনসাধারণকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ত দফতর বাধা দেয় প্রতিবার।’’ পূর্ত দফতর আবার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার বিরুদ্ধে।
আরামবাগ শহরে ভূগর্ভস্থ তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে মাস খানেক আগে। আরামবাগ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২২ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে দু’বছরের মধ্যে। প্রথম দফায় ১.২ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ লাইন হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় হবে ৮ কিলোমিটার অংশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy