প্রতীকী ছবি।
অজানা জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তের ভিড় উপচে পড়ছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালে আলাদা করে ‘ফিভার সেল’ খুলতে হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত চার দিনে ১০০ জনেরও বেশি অজানা জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। এ দিকে এ দিনই ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মূলত উত্তর হাওড়া-সহ হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ বলে দাবি করা হলেও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে প্রতিদিন অজস্র রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ রোগী জ্বর নিয়ে এসেছেন। বহির্বিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিবপুরের পি এম বস্তির বাসিন্দা দিলওয়াগ খান জানান, জ্বর হয়েছে। সেই সঙ্গে বমির ভাব। সঙ্গে শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। তাই হাসপাতালে এসেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন পরীক্ষার জন্য।
লিলুয়ার ভট্টনগরের বাসিন্দা কমল মণ্ডল বলেন, “এলাকায় অনেকেরই ডেঙ্গি হয়েছে। সেই কারণে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে সোজা সরকারি হাসপাতালে এসেছি।” এই সমস্যা মেটাতে হাওড়া জেলা হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগের একটি অংশে ‘ফিভার সেল’ খোলা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মূলত জ্বরে আক্রান্তদের এই সেলে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বহির্বিভাগে আসা জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এলাইজা পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে কি না বোঝার চেষ্টা হচ্ছে। বহির্বিভাগে জ্বর নিয়ে চিকিৎসা করাতে এলেই রোগীর নামের সঙ্গে ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নেওয়া হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির সংক্রমণ পাওয়া গেলে সেই রোগীকে ফোন করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালের ‘ফিভার সেল’-এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে বলা হচ্ছে।
হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সালকিয়া এলাকায় ডেঙ্গি মারাত্মক আকার নিয়েছিল। তবে গত দু’দিনে প্রকোপ কিছুটা কমেছে। এখন আবার বটানিক্যাল গার্ডেন, বেলিলিয়াস লেন, পিলখানার মতো নতুন এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা সব সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি রেখেছি। চিকিৎসার কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy