চণ্ডীতলায় উদ্ধার হওয়া বাজি। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহে সব ধরনের বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাজি ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। চলছে প্রচারও। তা সত্বেও হুগলিতে কিছু জায়গায় বাজি ফাটছে বলে অভিযোগ।
হাওড়া এবং হুগলি জেলার ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, বেশ কিছু দিন আগেই বাজি মজুত করা হয়। কিছু বাজি বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। তবে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং তার প্রেক্ষিতে পুলিশ-প্রশাসনের সতর্কতার জেরে বাজি গুদামে ঢুকিয়ে ফেলছেন তাঁরা। অনেক দোকানে অবশ্য বাজি সাজানো রয়েছে। খবর সংগ্রহ করে সেখানে হানা দিচ্ছে পুলিশ।
গত কয়েক দিনে হুগলির চুঁচুড়ায় প্রায় ১৩ কুইন্টাল বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে কামারপুকুরে কয়েকটি দোকান থেকে ১২ কেজি বাজি উদ্ধার হয়। শনিবার রাতে চণ্ডীতলায় বাজি তৈরির কারখানা থেকে প্রায় ১২০ কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়। তবে, বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ভাবে ডালা সাজিয়ে বাজি বিক্রি সে ভাবে চোখে পড়েনি।
আরামবাগে বাজি কারবারিদের একাংশ জানান, যাবতীয় বাজি বস্তাবন্দি করে গুদামে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজি কিনতে কেউ আসছেনও না। বিভিন্ন থানার তরফে জানানো হয়েছে, লিফলেট বিলি এবং মাইকে প্রচার করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে, আরামবাগ শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাতের দিকে বিকট শব্দে বাজি ফাটার শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। কয়েক জন দাবি করেছেন, কিনে রাখা বাজি নষ্ট না করে ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘‘বাজি না ফাটানোর আবেদন করে প্রচারের পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলির সঙ্গেও বৈঠকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ টহলদারিও থাকছে। হাইকোর্টের রায় মানা না হলে কড়া পদক্ষেপও করা হবে।’’
হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় পুলিশ বাজি ধরতে নজরদারি শুরু করেছে। নদীঘাটে ‘নাকা চেকিং’ চলছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে নদীপথে বাজি আসে হাওড়ায়। সেই কারণেই বাউড়িয়া, চেঙ্গাইল, উলুবেড়িয়ায় লঞ্চঘাটে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
উলুবেড়িয়ার এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘লকডাউনে দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ ছিল। রোজগার কার্যত ছিল না। সংসার চালাতে দেনা হয়েছে। ভেবেছিলাম, বাজি বিক্রি করে কিছুটা সুরাহা হবে। কিন্তু এখন দেখছি, দেনার পরিমাণ আরও বেড়ে গেল।’’
কোভিড রোগীদের কথা ভেবে বাজি পোড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার দাবিতে প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। বাজি পোড়ানো বন্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে জাঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে রবিবার পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy