মৃত মহম্মদ মিরাজ।
এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে তাঁর প্রেমিকার বাবা এবং ঠাকুর্দাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে পান্ডুয়ার সরাই-তিন্না পঞ্চায়েতের থৈপাড়ার পশ্চিমপাড়ার ঘটনা। নিহতের নাম মহম্মদ মিরাজ (২৪)। ধৃতদের নাম সেখ হালিম এবং আখতার হোসেন। মিরাজ সম্পর্কে হালিমের ভাইপো। দুই পরিবার পাশাপাশি থাকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হালিম রাজমিস্ত্রি। তাঁর মেয়ের সঙ্গে মিরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পেশায় দিনমজুর মিরাজ মদ্যপ, এই অভিযোগে মেয়েটির পরিবারের লোকেরা তাঁদের বিয়ে দিতে রাজি হননি। সম্প্রতি তাঁরা অন্যত্র মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন। বিষয়টি জেনে ওই যুবক মানতে পারেননি। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি এ নিয়ে হালিমের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের বাড়িতে যান। দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, তখনই মেয়েটির বাড়ির লোকেরা মিরাজকে মারধর করেন। মার খেয়ে ওই যুবক লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের মা শাহনাজ বিবি রবিবার বিকেলে হালিম, আখতার-সহ ওই পরিবারের মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ছেলেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পান্ডুয়া থানায়। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সন্ধ্যায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। আজ, সোমবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হবে।
হালিমের দাবি, তিনি মিরাজকে বলেছিলেন নেশা করা না ছাড়লে মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেবেন না। কিন্তু মিরাজ সে কথায় কান দেননি। সেই কারণে অন্যত্র মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রায়ই মিরাজ নেশা করে আমাদের বাড়িতে আসত। শনিবারেও মদ্যপ অবস্থায় এসে মেয়ের সঙ্গে ওর বিয়ে দিতে হবে বলে আমার সঙ্গে ঝগড়া জুড়ে দেয়। আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারতে যায়। তখন রাগ সামলাতে না পেরে ওকে চড় মেরেছি। ও যে মরে যাবে, ভাবিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy