যুযুধান: একদিকে মিছিলে আনিসুল ইসলাম। অন্যদিকে পথসভায় হাজির অসিত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সুশান্ত সরকার
পান্ডুয়ায় শাসকদলের দুই পক্ষের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা সুবিদিত। এক পক্ষ মিছিল করলে অন্যপক্ষ-ও পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমে পড়ে। এর একাধিক নজিরও রয়েছে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জনবিরোধী’ নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার ময়দানে নামে তৃণমূল। পাণ্ডুয়ায় দলের ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা এ দিন প্রত্যেকটি বুথে পথসভা করেন। কয়েকটি পথসভায় বক্তৃতা করেন অসিত-ঘনিষ্ঠ বলে তৃণমূলে পরিচিত পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ।
অন্য দিকে, দলে তাঁর ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশকে দেখা যায় মিছিলে হাঁটতে। দুই গোষ্ঠীর ‘সমান্তরাল’ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, ‘‘কাকে আমরা নেতা ধরে নেব?’’
এ দিন পান্ডুয়ার কলবাজার থেকে মেলাতলা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূলের ‘আনিসুল-গোষ্ঠী’। সেই মিছিলে ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘ব্লক সভাপতিকে মিছিলের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু উনি আসেননি।’’ আনিসুল বলেন, ‘‘দলীয় নির্দেশ মেনে মিছিল হয়েছে। সেখানে সবাইকে আসতে বলা হয়েছিল।’’ মিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী হেঁটেছেন বলে তাঁদের দাবি।
অন্য দিকে, অসিতের বক্তব্য, ‘‘ব্লক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে এ দিন প্রতিটি বুথে পথসভা হয়েছে। আমাকে কেউ মিছিলের কথা জানায়নি।’’ সঙ্গে যোগ করেন: ‘‘আমি ব্লক সভাপতি। আমাকে না-জানিয়ে দলের কোনও কর্মসূচি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।’’
পথসভা, নাকি মিছিল? কোনটি দলের ব্লক কমিটির সরকারি কর্মসূচি?
সঞ্জয়বাবুর দাবি, ‘‘জয়হিন্দ বাহিনী, ছাত্র-যুব, মহিলা, সকলেই আমাদের মিছিলে হাঁটেন। পাঁচ হাজার মানুষ এসেছিলেন। বাকিটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’’ পক্ষান্তরে অসিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘ব্লক কমিটি-ই পথসভার কর্মসূচি নিয়েছিল। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন অনর্থক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy