প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার বাঁকড়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত। সোমবার গভীর রাতে ট্রেনে চেপে বিহারে পালানোর আগেই মহম্মদ সেলিম নামে ওই যুবককে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে ধৃত সেলিমের দাবি, তার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই তার টাকার প্রয়োজন ছিল। পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করেন শিশুটির বাবা মহম্মদ ইস্তিকার। সেই আক্রোশের বশেই তাঁর ছেলেকে খুন করে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ সেলিম বালিটিকুরিতে একটি চুড়ির কারখানার কাজ করত। মহম্মদ ইস্তিকার ওই কারখানার মালিক। ইস্তিকারের কাছে দু’হাজার টাকা পাওনা ছিল সেলিমের। মহম্মদ ইস্তিকার ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে পাওনা টাকা চাইতে ইস্তিকারের বাড়িতে গিয়েছিল সেলিম। টাকা না-পেয়ে ঝগড়া করে চলে যাওয়ার সময়ে বাড়ির নীচে থাকা পাঁচ বছরের মহম্মদ ইবরানের গলায় ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায় সেলিম। শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পলাতক সেলিমের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। এর পরে গভীর রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে বিহারের সমস্তিপুরে পালানোর আগেই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেলিমকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে সে দাবি করে, ‘‘আমার বাবা খুব অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। তাই টাকা চাইতে গিয়েছিলাম মালিকের বাড়িতে। ওরা আমাকেই হাত-পা বেঁধে মারধর, অত্যাচার করল। রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।’’ হাওড়া কমিশনারেটের ডি সি (দক্ষিণ, জ়োন ২) রাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সেলিম ট্রেনে চেপে বিহারের সমস্তিপুরে পালানোর চেষ্টা করছিল। ওই সময়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে এ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার
নির্দেশ দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy