ছবি: সংগৃহীত।
ডেঙ্গি আক্রান্ত রিষড়ার এক বৃদ্ধা কিছুদিন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার শহরের ১৭ নম্বর
ওয়ার্ডের হরিসভা সংলগ্ন এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে গেলে করোনা আতঙ্কে বাড়ির মালিক তাঁকে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে শোরগোল হয়। নাতিকে নিয়ে অন্যত্র রাত কাটাতে হয় তাঁকে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে। বুধবার বিকেলে অবশ্য বৃদ্ধা ভাড়াবাড়িতে ঢুকতে পেরেছেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর শুভজিৎ সরকার বলেন, ‘‘বাড়িওয়ালাকে বলি, বৃদ্ধার করোনা সংক্রমণ হয়নি। পুলিশ এবং এক চিকিৎসকও বোঝান। কিন্তু ওঁরা বৃদ্ধাকে ঢুকতে দেননি। বাধ্য হয় তাঁকে এবং তাঁর নাতিকে রিষড়া সেবাসদন হাসপাতালের ঘরে রাখার ব্যবস্থা করি।’’
বাড়িওয়ালা পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বাড়ির প্রত্যেককে ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেন। তাতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার কয়েক ঘণ্টা পরে বৃদ্ধাকে নিয়ে তাঁর বাড়ির লোক আসেন। আতঙ্কের কারণেই তাঁকে ১৪ দিন অন্যত্র থাকার অনুরোধ করা হয়। কারণ, সকলকে একটাই শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। নিভৃতবাসে থাকা কঠিন। বুধবার যখন তাঁরা নিশ্চিত হন, বৃদ্ধার শুধুমাত্র ডেঙ্গি হয়েছিল, তখন তাঁরা বাধা দেননি।
পরিবারের এক মহিলার প্রশ্ন, ‘‘পুরসভা কেন আমাদের হোম কোয়রান্টিনের কাগজ ধরাল? আমাদের ছবিও তুলেছে। তাতে আতঙ্কিত হওয়া কি অন্যায়? পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, ভুল করে কাগজ পাঠানো হয়েছে।’’
শুভজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওঁদের বারবার বলি, পুরসভার পাঠানো কোয়রান্টিনের কাগজের বিষয়ে অবহিত ছিলাম না। প্রয়োজনে ওই কাগজ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করব। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলার পরেও ওঁরা গোঁ ধরে রইলেন।’’
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ওই বৃদ্ধাকে ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy