ভোগান্তি: জলমগ্ন আরামবাগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড। ছবি: মোহন দাস।
প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারল না আরামবাগ শহরকে। নিকাশি ব্যবস্থার বিন্দুমাত্র সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এবং শুক্রবারের সকালের ঘন্টা খানেকর বৃষ্টিতে যথারীতি ভাসল শহর।
শহরবাসীর অভিযোগ, “ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা প্রকল্পের কাজটি অপরিকল্পতভাবে হয়েছে। ফলে অতীতে জল নিকাশির যে ব্যবস্থা ছিল তাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে জটেল হয়েছে সমস্যা।” আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর অবশ্য দাবি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই কাজ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘শহরের দীর্ঘ দিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্যই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু থার্মোকল, প্লাস্টিক-সহ নানা আবর্জনা ফেলছেন মানুষ। তাতেই বিভিন্ন জায়গায় জল আটকে শহর ভাসাচ্ছে।” প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরামবাগ পুররসভার নিকাশি-সমস্যা দীর্ঘদিনের। ঘন্টা খানেক টানা বৃষ্টি হলে পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়। প্রতি বর্ষাতেই মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রদেখান। সমস্যা মেটাতে পুরসভা কোথাও মাটি কেটে অস্থায়ী নালা করে, কোথাও আবার পাম্প চালিয়ে জল বের করে। পূর্ত দফতরের ক্ষোভ, শহরের জমা জল বের হওয়ার পথ না থাকাতেই এই সমস্যা।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের তালতলা বাজার থেকে আরামবাগ রেল কার্লভার্ট পর্যন্ত ২০৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ভূগর্ভস্থ নালা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। বরাদ্দ হয়েছিল ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৭৭ টাকা। ২০১৪ সালের মার্চ নাগাদ একটি সংস্থার মাধ্যমে সমীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাতেও ফল মিলল না। পুর কর্তৃপক্ষেরই একাংশের অভিযোগ, কোনও বিশেষজ্ঞ দিয়ে সমীক্ষা করা হয়নি বলেই শহরকে ভুগতে হচ্ছে।
গত দু’দিনে ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড-সহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় জল জমে ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিশেষত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোড, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো বাজার পাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দমার্গ স্কুল সংলগ্ন এলাকা ভয়াবহ। নাকে রুমাল ঢেকে যাতায়াত করছেন মানুষ। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল রোডের উপর নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় ব্যবসয়ীদেরই।
পুরসভার চেয়ারম্যান শুক্রবার রাতে ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে বলেন, “আমরা নিকাশি সংক্রান্ত ১০০ শতাংশ কাজ করে উঠতে পারিনি। এখনও সব ওয়ার্ডে দু’ তিনটি করে নিকাশি নালার প্রয়োজন। সেগুলো তৈরি চলছে। নালাও পরিষ্কার করা হচ্ছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy