—নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসার জন্য আর কলকাতায় দৌড়তে হবে না হাওড়ার এইচআইভি পজ়িটিভ বাসিন্দাদের। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা
গিয়েছে, এত দিন কেউ এইচআইভি পজ়িটিভ কি না, তার পরীক্ষা হত হাওড়ায়। কিন্তু চিকিৎসার জন্য যেতে হত কলকাতার হাসপাতালে। এ বার তাঁরা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন হাওড়া জেলা হাসপাতালেই। ওই হাসপাতাল চত্বরে একটি এডস বিভাগ তৈরির জন্য এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যে হাওড়া জেলা হাসপাতালে বিভাগটি চালু করা হবে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রতি বছর হাওড়ায় গড়ে প্রায় ২০০ জন এইচআইভি পজ়িটিভ আক্রান্তের সন্ধান মেলে। বিগত বছরগুলিতে আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ধরলে হাজারেরও বেশি মানুষ নিয়মিত চিকিৎসার জন্য কলকাতার সরকারি হাসপাতালে যান। হাওড়া জেলা হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁকে ‘রেফার’ করা হয় এসএসকেএমে। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কলকাতার সরকারি হাসপাতালে গিয়েও রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হয় বলে একাধিক বার অভিযোগ এসেছে। তাই হাওড়া জেলা হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।
হাওড়া হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন একটি আলাদা বিভাগ তৈরি করতে অনেক আগেই আমরা উদ্যোগী হয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে এগোনো সম্ভব হয়নি। এখন ফের নতুন করে কাজ শুরু করা হয়েছে।’’
সুপার জানান, এই বিভাগকে সাধারণ ভাবে এডস চিকিৎসাকেন্দ্র বলা হলেও চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় এআরটি বা অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি। তিনি আরও জানান, এইচআইভি পজ়িটিভদের শারীরিক নমুনার নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয়। বেশ কিছু ওষুধও চলে নিয়মিত। জেলার মধ্যেই এই কেন্দ্র হলে এমন বাসিন্দাদের অনেক সুবিধা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। সেখানে হুগলি জেলার আক্রান্তেরাও চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। এখনই এই বিভাগে কোনও শয্যার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। তবে নির্দিষ্ট চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান-সহ স্বতন্ত্র একটি বিভাগই তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy