বিষ্ফোরণে এ ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাড়ি। —ফাইল চিত্র
নৈহাটির বিস্ফোরণ-কাণ্ডে চুঁচুড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা এসে পৌঁছল হুগলি জেলা প্রশাসনের হাতে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘চুঁচুড়ার তিনশোরও বেশি বাড়ি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবাইকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে এ জন্য ১৭ লক্ষেরও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা আমাদের হাতে এসে গিয়েছে। শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
গত ৯ জানুয়ারি নৈহাটির গৌরীপুরে গঙ্গার পাড়ে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বাজির মশলা এবং রাসায়নিক নিষ্ক্রিয় করতে ঘটানো ওই বিস্ফোরণে সেখানকার বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভিঘাত পৌঁছয় গঙ্গার এ পাড়ে, চুঁচুড়াতেও। চুঁচুড়ায় গঙ্গার ধার বরাবর পাঁচটি ওয়ার্ড (১১, ১২, ১৩, ২০ এবং ২১ নম্বর) জুড়ে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বকুলতলা, জোড়াঘাট, পঞ্চাননতলা, তামালিপাড়া, রাসমনি ঘাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একের পর এক বাড়ির জানলা-দরজা, আলমারির কাচ ঝনঝনিয়ে ভেঙে পড়ে। দেওয়ালে ফাটল ধরে। কোনও বাড়িতে জানলা-দরজার পাল্লা খুলে পড়ে যায়। ক্ষোভে চুঁচুড়াবাসী রাস্তা অবরোধ করেন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তখনই রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, বাড়ি ধরে ধরে ক্ষতিপূরণের অঙ্কের চেক তৈরির কাজ চলছে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সেই কাজ হয়ে যাবে। তার পরে জেলা প্রশাসন এবং কমিশনারেটের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চুঁচুড়ায় রেড ক্রস ভবন থেকে কিছু মানুষের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে বাড়িতে চেক পৌঁছে দেওয়া হবে। বিধায়কের কথায়, ‘‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy