বুধবার ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।
২১-শে জুলাইয়ের জন্য শেওড়াফুলিতে বুধবার প্রস্তুতি সভা করেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের বেশ খানিকটা পরে মান্নানের খাসতালুকে এসে তিনি সিপিএম ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। রাজবাড়ির মাঠে হওয়া এই সভায় তখন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। মঞ্চেও সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যানদের ভিড়। বৃষ্টির আশঙ্কায় পুরো মাঠ ঘিরে ফেলা হয়। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতিতেও এই সভাকে ঘিরে জেলাবাসীর উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বস্তুত, হুগলিতে ২১ জুলাইয়ের সভাকে কেন্দ্র করে দলে নেতাদের মধ্যে চাপানউতোর ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কিছুটা হলেও ছন্দপতন হয় চাঁপদানির পরাজিত বিধায়ক মুজওফর খানের বক্তব্যে। এ দিন অভিষেককে বসিয়ে রেখে তিনি ক্ষোভের ঝাঁপি খোলেন। বললেন, ‘‘দলের বিশ্বাসঘাতকদের জন্য সামান্য ভোটে হারতে হয়েছে। ওঁদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করতে হবে।’’ অভিষেকের সামনেই তাঁর এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে যান মঞ্চে বসা জেলার নেতারা। ভরা মঞ্চে প্রকট হয় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে ফের দ্বন্দ্বের এই বহিপ্রকাশের এর সূত্রপাত দিন কয়েক আগেই। দল সূত্রে খবর, এই প্রস্তুতি সভার জন্য আগ বাড়িয়ে কাজ শুরু করেন জেলা যুবার কার্ষকরী সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই দলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হয়। বুধবার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে মুজফফর এই কথা বলছেন তা দলীয় স্তরে তা আলোচনা করা বলা হবে।’’ এই বলে ক্ষোভে ইতি টানেন তিনি।
এ দিনের সভায় তপনবাবু ছাড়াও হুগলির সাংসদ রত্না দে-নাগ, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ আরও অনেকে। সভায় দেখা মেলেনি জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং চন্দননগরের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে। ছিলেন না তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংহও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy