সরেজমিনে: এটিএম কাউন্টােরর সামনে তদন্তে পুলিশ। ছবি: দীপঙ্কর দে
বছর খানেকের ব্যবধানে ফের ডানকুনির একটি রক্ষীহীন এটিএম কেটে টাকা নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। যাতে শনাক্ত করা না যায়, সে জন্য তারা মুখ ঢেকেছিল হনুমান টুপিতে। এটিএমের সিসিক্যামেরায় স্প্রে করে দেয়।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। শহরের প্রাণকেন্দ্র সুভাষ পল্লি এলাকার। তবে জানাজানি হয় শনিবার সন্ধ্যায়, যখন বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওই এটিএমে টাকা ভরতে আসেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এটিএমের সিসিক্যামেরায় দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েছে। প্রথমে একজন এটিএমে ঢোকে। সে সিসিক্যামেরার তার কাটার চেষ্টা করে। অসফল হয়ে সে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বস্তায় গ্যাস-কাটার নিয়ে ভিতরে ঢোকে কয়েকজন। তাদেরই একজন সিসি ক্যামেরার লেন্সে স্প্রে ছিটিয়ে দেয়। সকলেই হনুমান টুপি পরে ছিল। টাকা হাতিয়ে এটিএমের শাটার নামিয়ে তারা গা-ঢাকা দেয়। রবিবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে সংস্থা ওই এটিএমে টাকা ভরার দায়িত্বে ছিল, তাদের থেকে খোওয়া যাওয়া টাকার পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে এলাকার সিসিক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’
ডানকুনির অধিকাংশ এটিএমেই নিরাপত্তারক্ষী নেই। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ শহরের টিএন মুখার্জি রোডের একটি এটিএম কেটে টাকা হাতিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার আগের দিনই কাছেই চণ্ডীতলার মশাট বাজারেও একই ঘটনা ঘটে। পর পর দু’দিনে দু’টি ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শুক্রবারের ঘটনার পরেও ফের একই প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ডানকুনিতে ব্যাঙ্ক ডাকাতি থেকে শুরু এটিএম লুটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোড কাছাকাছি হওয়ায় দুষ্কৃতীরা সহজেই পালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশি নজরদারি আঁটোসাঁটো না হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy