প্রতীকী ছবি
নৈটির পর এ বার জনাই।
করোনা আতঙ্কে চণ্ডীতলায় দু’দফায় রাস্তা তৈরির কাজে বাধা এল এলাকাবাসীর। কারণ, রাস্তার কাজ করছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
‘আনলক-ওয়ান’ পর্বে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ফের রাস্তার কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। কিন্তু চণ্ডীতলার নৈটিতে সেই কাজ শুরুর মুখেই স্থানীয়েরা পরিযায়ীদের কাজে নেওয়া যাবে না এবং এলাকায় রাখা যাবে না বলে দাবি তোলেন। সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার একই ছবি চণ্ডীতলারই জনাই বাজারে।
বর্ষার আগে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার তাগিদে এখন জেলা পূর্ত দফতরের কর্তারা রাতেও কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার রাতে জনাই বাজারে সেই কাজ শুরুর সময়েই এলাকাবাসী আপত্তি জানান। পরিযায়ীদের কাজে লাগানোয় সংক্রমণ নিয়ে প্রশ্নও তোলেন অনেকে। এখানেও সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ হয়। রাতেই সেখানে যান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন। তারপরে অবশ্য কাজ চালু হয়।
সুবীর বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের একশোরও বেশি শ্রমিক ওই কাজ করছেন। ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও কাজে নেওয়া হচ্ছে। আমরা গ্রামবাসীদের বোঝাই, বিধি মেনে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। এরপরই গ্রামবাসীরা ফিরে যান।’’
জেলা পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত। সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে কাজটা ফের শুরু করেছি। সামনে বর্ষা। দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছি।’’
শ্রীরামপুর নওগাঁ জিটি রোডের মুখ থেকে চণ্ডীতলা বাজার পর্যন্ত মোট ১৮ কিলোমিটারের ওই রাস্তাটি তৈরির কাজ গত বছরের শেষে শুরু দেয়। মোট ২৬ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। রাস্তাটি সম্প্রসারণও করা হচ্ছে। নওগাঁ থেকে দিল্লি রোড হয়ে পিয়ারাপুর, বড়া, কাপাসহাড়িয়া, বেগমপুর, জনাই হয়ে চণ্ডীতলায় গিয়ে মিশবে রাস্তাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy