প্রতীকী ছবি।
বাজারে প্রচুর দেনা। অথচ হাতে টাকা নেই। শেষে ব্যাঙ্ক থেকেই টাকা হাতানোর ফন্দি আঁটেন এক ব্যক্তি। দুপুরে টিফিন চলাকালীন ব্যাঙ্ক ফাঁকা থাকায় সে সুযোগও মিলে যায়। পাটকাঠির মাথায় সেফটিফিন লাগিয়ে সহজেই ড্রয়ার খুলে টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি। কিন্তু সে জানত না, সিসি ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটাই রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। পরে আবার সেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি করতে গেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি আমতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সাহেব দাস। বাড়ি জয়পুর থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া গ্রামে। ওই যুবক পুলিশের কাছে চুরির কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া আদালতে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর দিন দুপুরে ব্যাঙ্কে যায় সাহেব। সেই সময় ব্যাঙ্কের কর্মীরা সকলেই বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে সাহেব একটি পাটকাঠির মধ্যে সেফটিপিন আটকে ক্যাশ কাউন্টারের ড্রয়ার খুলে ফেলে। এরপর দুটো টাকার বান্ডিল নিয়ে পালিয়ে যায়। দিনের শেষে ব্যাঙ্কে টাকা মেলানোর সময় দেখা যায় হিসেবে গরমিল রয়েছে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হলে চুরির বিষয়টি সামনে আসে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ফুটেজ-সহ পুলিশে অভিযোগ জানায়।
সোমবার ওই ব্যক্তি আবার টিফিনের সময় ব্যাঙ্কে আসে। তাকে ব্যাঙ্কের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্মচারীদের। তার ব্যাগ থেকে পাটকাঠিও মেলে। ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পেশায় দিনমজুর। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, দুই ছেলে এবং মা।
মঙ্গলবার আদালতে যাওয়ার পথে সাহেব জানায়, ‘‘সংসার চালাতে না পেরে দেনা করেছিলাম। পাওনাদাররা বার বার তাগদা দিচ্ছিল। টাকা মেটানোর জন্য বাধ্য হয়েই চুরি করেছি। বেশ কিছু টাকা মিটিয়ে দিয়েছি। কিছুটা কম পড়ায় সোমবার আবার এসেছিলাম।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘চুরি হওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy