পুকুর খোঁড়ার আগে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: দীপঙ্কর দে
ভরাট হওয়া একটি পুকুর খোঁড়ার কাজ শুরু হল জাঙ্গিপাড়ায়।
বেশ কয়েক মাস আগে এলাকার তৎকালীন এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুকুরটি ভরাট করার অভিযোগ ওঠে। সেই নেতা পরে বিজেপিতে যোগ দেন। বুধবার সেই বিজেপিরই অন্য এক নেতার উদ্যোগে পুকুরটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের এককালের দাপুটে নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রক্তন সভাপতি শেখ মৈনুদ্দিন ওরফে বুদোর দলবলই জাঙ্গিপাড়ার কৃষ্ণনগর এলাকার ওই পুকুরটি ভরাট করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষ আপত্তি করলেও বুদো ও তাঁর দলবলের দাপটে সেই সময় তা ধোপে টেকেনি। এ দিন লোকজন নিয়ে সেই পুকুরটা আবার খোঁড়ার কাজ শুরু করলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ বাগ। এই ঘটনায় এলাকায় বিজেপির ভেতরের দ্বন্দ্বটাই আরও একবার প্রকাশ্যে চলে আসছে।
বুদোকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির একটি অংশের আপত্তি ছিল। তাঁদের দাবি, তৃণমূলে থাকায় সময় বুদো জাঙ্গিপাড়ায় যে সব কান্ড ঘটিয়েছেন, তাতে তাঁকে নিলে দলের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু বুদো সরাসরি মুকুল রায়ের কাছে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে স্থানীয় স্তরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়।
এ দিন প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, শুধু জাঙ্গিপাড়া এলাকাতেই অন্তত ২০টি পুকুর এ ভাবে বোজানো হয়েছে। আমরা বিএলআরও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে সব পুকুর আমরা লোক নিয়ে গিয়ে খুঁড়ব।’’
বুদো অবশ্য পুকুর ভরাটের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলের কথাও মানতে চাননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অযথা আমার নামে দোষারোপ করা হচ্ছে। কে, কোথায় পুকুর বুজিয়েছে আমরা জানা নেই। আর সেই পুকুর কে গিয়ে খুঁড়ে দিল, তা নিয়েও আমার কোনও উৎসাহ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy