Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
International Women's Day

যৌন নিগ্রহের পর টিকিয়াপাড়ায় ট্রেন থেকে ফেলা হল মহিলাকে

রবিবার রাতে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া ও দাশনগরের মাঝে ওই ঘটনা ঘটেছে। আপাতত তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২০ ০১:৪৫
Share: Save:

নারী দিবসের রাতেই চলন্ত ট্রেনে যৌন নিগ্রহের পরে এক মহিলাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া ও দাশনগরের মাঝে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, যৌন নিগ্রহের পরে তাঁর সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট করে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় ওই মহিলাকে। আপাতত তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় বেশি রাতে লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরার নিরাপত্তা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠল।

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ হাওড়া থেকে আপ মেচেদা লোকালের বাড়ি ফিরছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। ট্রেনের মহিলা কামরায় ছিলেন তিনি। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনটি যখন টিকিয়াপাড়া এবং দাশনগরের মাঝে, তখনই কয়েক জন দুষ্কৃতী ওই মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করে। মহিলা কামরাটি ফাঁকা ছিল। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁর উপরে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তাঁর ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পরে তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দারা রেললাইনের পাশে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরাই উদ্ধার করেন ওই মহিলাকে। সেই সময়ে ওই এলাকা দিয়ে ব্যাঁটরা থানার পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি যাচ্ছিল। স্থানীয়েরা পুলিশকে ডেকে আনেন। খবর পায় শালিমার জিআরপি। রেল পুলিশ এবং আরপিএফের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর ডান পা ভেঙে গিয়েছে। মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসা চলছে।’’ নিগৃহীতা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: পার্ক সার্কাসে চলন্ত ট্রেনে ছোড়া হল প্যাকেট-বন্দি প্রস্রাব, অভব্যতার শিকার মহিলা সাংবাদিক

পুলিশ সূত্রে খবর, পটাশপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার দুই মেয়ে রয়েছে। কলকাতার একটি পোশাক প্রস্তুতকারক কারখানায় কাজ করেন। দোলের আগের রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। কোনও কারণে দেরি হওয়ায় বেশি রাতের ট্রেনে ফিরছিলেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE