ফুলেশ্বরে বসেছে চড়ুইভাতির আসর। —নিজস্ব চিত্র
শর্তসাপেক্ষে গড়চুমুক পর্যটনকেন্দ্রে চড়ুইভাতির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ। শনিবার ওই পর্যটনকেন্দ্রে বৈঠকে বসেন জেলা পরিষদের কর্তারা। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনা-আবহের জন্য এই মরসুমে চড়ুইভাতির অনুমোদন দেব না বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এর সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিছু শর্ত নামলে চড়ুইভাতির অনুমতি দেওয়া হবে।’’ আজ, সোমবার সেইসব শর্ত চূড়ান্ত হবে বলে অজয়বাবু জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বেশি লোকজনকে চড়ুইভাতিতে আনা যাবে না। মানতে হবে কোভিড বিধি। মাস্ক পরতে হবে। পর্যটনকেন্দ্রে বসার জায়গা এবং পানীয় জলের নলকূপগুলি জীবাণুমুক্ত করা হবে।
জেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে গড়চুমুকে প্রতি বছর শীতের মরসুমে চড়ুইভাতি করতে আসেন বহু মানুষ। সূত্রের খবর, করোনা-আবহেও অনেকে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে গড়চুমুকে চড়ুইভাতি করেছেন। কিন্তু জেলা পরিষদ এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্তের কথা না জানানোয় পুলিশও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘চড়ুইভাতি করার শর্তগুলি চূড়ান্ত হলে তা পুলিশকেও জানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ শর্ত অমান্য করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে।’’
শুধু গড়চুমুকই নয়, বাগনানের নাওপালায় রূপনারায়ণের পাড়, উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় দামোদরের পাড়, ফুলেশ্বরে সেচ বাংলো সংলগ্ন হুগলি নদের পাড়েও বসে চড়ুইভাতির আসর। ওই এলাকাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করে জেলা প্রশাসন। ওই এলাকাগুলিতে চড়ুইভাতি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে জেলা প্রশাসন কিছু জানায়নি। যদিও অভিযোগ উঠছে, ইতিমধ্যেই সেই জায়গাগুলিতে চড়ুইভাতি শুরু হয়েছে। সেখানে বহু মানুষ ভিড় করছেন। চলছে নাচ গান। বসছে মদের আসর। পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের টিকি দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘চড়ুইভাতি করার এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর কথা পুলিশকে বলা হবে।’’
রবিবার মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির পক্ষ কোভিড-বিধি মেনে ফুলেশ্বরে চড়ুইভাতি করার আবেদন জানানো হয়। সেখানে পৌঁছে সমিতির সদস্যেরা দেখেন, চড়ুইভাতি করতে আসা অনেকে গাছের গোড়ায় উনুন জ্বালিয়ে রান্না করছেন। সমিতির লোকজন তাঁদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করতে তাঁরা তা মেনে নেন। সমিতির কর্ণধার জয়িতা কুণ্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে, কোভিড-বিধি মানা তো দূরের কথা, গাছের নীচে উনুন ধরিয়ে রান্না চলছে। নদীতে থার্মোকলের থালা-বাটি ফেলা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বার চড়ুইভাতি করার ব্যাপারে নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের অনুরোধ করেছিলাম জেলা প্রশাসনের কাছে। সে সব কিছুই হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy