Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মশার লার্ভা পেলে জরিমানা মালিকের

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০০:৫৫
Share: Save:

কোনও বাড়ি বা জমিতে জমা জলে ডেঙ্গির মশার লার্ভা পেলে সেই বাড়ি বা জায়গার মালিককে এ বার জরিমানা করবে হাওড়া পুরসভা। যদিও জরিমানা করার আগে সাত দিনের নোটিস দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করতে বলা হবে। সেই সময়ের মধ্যে তা করা না হলে হাওড়া পুরসভাই জায়গাটি পরিষ্কার করবে। এর জন্য বাড়ির মালিকের কাছ থেকে ওই সাফাইয়ের খরচ ও জরিমানা বাবদ সেই খরচের আড়াই গুণ টাকা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, ২৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করবে হাওড়া পুরসভা। বৃহস্পতিবার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানান, হাওড়া পুরসভা এ বার পুর আইনের ১৫৯ এ ধারা প্রয়োগ করতে পারবে। সেই ধারায় বলা হয়েছে, মশার প্রজনন স্থান পরিষ্কার না করলে সেই জায়গার মালিককে আর্থিক জরিমানা করবে হাওড়া পুরসভা। জরিমানার অঙ্ক এক হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

পুর কমিশনার বলেন, ‘‘এই আইন রাজ্য সরকার আগেই প্রয়োগ করেছিল। তবে তা প্রয়োগের জন্য হাওড়া পুর-আইনে সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। কারণ পুরসভা ঠিক কত টাকা জরিমানা করতে পারবে তা নিয়ে কোনও আইন ছিল না। এ বার আইনটি সংশোধন করে একটা ধারা যোগ করা হল।’’

উল্লেখ্য, বন্ধ বাড়ি বা ফাঁকা জমি অনেক ক্ষেত্রেই ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়। অনেক সময়েই বাড়ির আশপাশ আবর্জনায় ভরে থাকলেও পুরকর্মীদের সাফাই করতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ২০১৭ সালেই নগরোন্নয়ন দফতর এ নিয়ে পুরকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিল যে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই ধরনের জায়গায় ঢুকে সাফাইয়ের কাজ করতে হবে। গত বছর সরকারি এবং বেসরকারি হিসেবে হাওড়া পুর এলাকায় ৯০০ জন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হন। এক জনের মৃত্যুও হয়। পুরকর্তারা জানান, ডেঙ্গি রোধে সাফাইয়ের কাজ নিয়মিত প্রয়োজন। কিন্তু হাওড়ায় অনেক জায়গাতেই বাড়ির মালিক তাঁর জায়গার আশপাশে পুরসভাকে সাফাইয়ের কাজ করতে দেন না। যার ফলে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ দিনের বৈঠকে দুই বিধায়ক জটু লাহিড়ী ও ব্রজমোহন মজুমদার ছাড়াও হাওড়ার তিন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল হাজির ছিলেন। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ দিন ৬৬টি ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুর কমিশনার জানান, রাজ্য সরকার পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জানতে চেয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

পুর কমিশনার জানান, পুরসভার কর্মচারী বিষয়ে একটা ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। তাতে বরোগুলির বিভিন্ন দফতরে দক্ষ কর্মী বাড়ানোর জন্য নতুন করে কর্মী বিন্যাসের প্রয়োজন। এই প্রস্তাব সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। বৈঠকে সাফাইকর্মীদের ক্ষেত্রে মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিভিন্ন পুরসভায় আলাদা মজুরি কাঠামো রয়েছে। যাতে সকল সাফাইকর্মীদের অভিন্ন মজুরি হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Mosquito Larvae Howrah Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy