ফাইল চিত্র।
হাওড়া পুরসভায় এ বার চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের সারা বছরের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানেরাই ওই কাজ করবেন। এর জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে ‘পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইসাল ফর্ম’ দফতরের প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওই ফর্মে কোনও কর্মীর ব্যক্তিগত জীবনপঞ্জী ছাড়াও সারা বছরের কাজের খতিয়ান থাকবে। তাঁর নামে কোনও ফৌজদারি মামলা চলছে কি না, তা-ও জানাতে হবে।
কিছু দিন আগেই রাজ্য সরকার প্রতিটি পুরসভাকে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী আর নিয়োগ করা যাবে না। মূলত ওই নির্দেশের পরেই হাওড়া পুরসভার ৪১৯ জন চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ওই কর্মীদের দশ মাসের বকেয়া বেতন দিতে পারেনি পুরসভা। এরই মধ্যে বাকি অস্থায়ী কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন শুরু হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
২০১৪ সালের পর থেকে হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন দফতরে দু’হাজারেরও বেশি কর্মীকে নিয়োগ করে তৃণমূল-শাসিত পুর বোর্ড। এ ছাড়াও নেওয়া হয় প্রায় ১৮০০ দৈনিক মজুরির কর্মী। পুরসভার অন্দরের খবর, ২০১৪ সালের পরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে কর্মীদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেতন পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকেই দেওয়া হয়। এ বাবদ খরচ হয় বছরে ৩৬ থেকে ৩৭ কোটি টাকা।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সামনের বছরে ওই খরচ ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যেখানে পুরসভার আয় তলানিতে নেমে গিয়েছে, সেখানে কী ভাবে এত কর্মীকে বেতন দেওয়া হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তাই অস্থায়ী কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করে দেখা দরকার। যাঁরা উপযুক্ত, তাঁরাই থাকবেন।’’
হাওড়া পুরসভা আগামী মাসেই প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে চলার এক বছর পূর্ণ করবে। পুর কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, গত এক বছর ধরে পাঁচশো জনেরও বেশি অস্থায়ী কর্মীকে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় না। ওই সব কর্মীরও কাজের মূল্যায়ন করা হবে।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আসলে এত অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে কে কোথায় কী কাজ করেন, সেই তথ্য পুরসভায় নেই। তাই বিভিন্ন দফতরের প্রধানদের ওই ফর্ম অনুযায়ী কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।’’
পুর কমিশনার বলেন, ‘‘যে কোনও চুক্তি নবীকরণের আগে কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়। সেটাই করা হচ্ছে। কারণ, প্রতি বছর এত কোটি টাকা যে বেতন দিতে খরচ হচ্ছে, তার তো একটি হিসেব দিতে হয় কোথাও। গত এক বছরে কে কেমন কাজ করেছেন, সেটা দেখে কাকে রাখা হবে বা হবে না, সেই সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy