হাওড়া পুরসভার চুক্তিভিত্তিক ৪১৯ জন অস্থায়ী কর্মীকে নিয়মিত করা নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছিল, তা অবশেষে কাটল।
সোমবার বিকেলে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর এক বৈঠকের পরে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ওই কর্মীদের বেতন রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাওড়া পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকেই ওই কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই ওই কর্মীরা প্রথম বেতন পাবেন। তবে বকেয়া বেতনের বিষয়ে এ দিন কিছু জানাননি পুরমন্ত্রী।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ৪১৯ জনের প্রতি মাসের বেতনের সংস্থান কী ভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী পুরসভার ৭৫ কোটি টাকার একটি স্থায়ী আমানত ভাঙার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবই সকলে মেনে নেন। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার জঞ্জাল সাফাই দফতরে কর্মী কম থাকায় ৪১৯ জনের মধ্যে ৬৬ জনকে ওই বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। জল সরবরাহ দফতরের কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে আরও ৬৬ জনকে। বাকিদের পুরসভার অন্যান্য দফতরের কাজে নিযুক্ত করা হবে।
এ দিনের বৈঠকে আটকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, ওলাবিবিতলায় যে ভূগর্ভস্থ জলাধার প্রকল্প টাকার জন্য আটকে রয়েছে, সে বিষয়ে আজ, মঙ্গলবার অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন পুরমন্ত্রী। ফিরহাদ এ দিন আবার শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানান, শহর সাফ রাখতে ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে নতুন কম্প্যাক্টর যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সেই কাজে নিয়মিত নজর রাখতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশার বিষয়টিও স্বীকার করে নিয়ে পুরমন্ত্রী জানান, সেগুলি সারাইয়ের জন্য টাকা অনুমোদন করবে পুরসভা।
পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রশাসকমণ্ডলীর পরিচালনায় হাওড়া পুরসভা ভালই কাজ করছে। নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে যে পরিষেবা দেওয়া দরকার, সবটাই দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy