প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ও আন্দুলের দু’টি এটিএমে দুষ্কৃতী-হানার ঘটনায় পুলিশ চিহ্নিত করেছে হরিয়ানার একটি দলকে।
এতদিন পর্যন্ত ছিল ‘সফটওয়্যার’ দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। তাদের সঙ্গে জুটেছে ‘হার্ডওয়্যার’ দুষ্কৃতীরা। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এটিএমের পিন জেনে নিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরে। পুলিশি অভিযান চালিয়েও তাদের খুব একটা রোখা যায়নি। দুষ্কৃতীদের এই অপকর্মটিই পুলিশের ভাষায় ‘সফটওয়্যার’ দুষ্কৃতীদের কাজ।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হরিয়ানার লু জেলার নাম। এই জেলার প্রান্তিক এলাকার দুষ্কৃতীরা আবার কম্পিউটারের উপরে ভরসা করছে না। সরাসরি যন্ত্র নিয়ে এসে এটিএমের ভল্ট ভেঙে টাকা লুঠ করে ফিরে যাচ্ছে নিজের এলাকায়। সেই টাকায় কয়েক মাস ফূর্তি করে তারা ফের বেরিয়ে পড়ে লুটের অভিযানে। ভল্ট ভেঙে টাকা লুঠ করার এই প্রক্রিয়া পুলিশি ভাষায় ‘হার্ডওয়্যার’ দুষ্কৃতীদের কাজ। হরিয়ানার এই গ্যাংটিই এখন পুলিশের কাছে মাথাব্যাথার কারণ।
শুধু হাওড়া নয়, হুগলি এবং অন্য জেলাতেও এটিএম ভেঙে টাকা লুটে হরিয়ানার এই চক্র জড়িত বলেই দাবি হাওড়া সিটি পুলিশের। সম্প্রতি হুগলির ডানকুনির একটি এটিএম থেকে টাকা লুটে হরিয়ানা থেকে জনা ছয়েক দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও, হাওড়ার এটিএম লুটের ঘটনায় কাউকে ধরা যায়নি। সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, ভিন্ন ভিন্ন দল এটিএম লুঠ করে। ফলে একটি দল ধরা পড়লেও লুট বন্ধ হয় না।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানা থেকেই ওই দুষ্কৃতীরা গাড়ি ভাড়া করে আনে। তার আগে তারা কোন এটিএমে হানা দেওয়া হবে, করা হয় তার রেইকি। মূলত হানা দেওয়ার সময় রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে। কারণ, তার ঠিক আগেই পুলিশের রাতের টহলদারি যে শেষ হয়ে আসে সেই খবর তারা জানে। এটিএমে হানা দিয়েই তারা সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। তারপরে ৃ তারা ভল্ট ভেঙে টাকা নিয়ে গাড়ি করে ফের চম্পট দেয়।
হাওড়ার তিনটি এটিএমের লুঠের ঘটনায় যে গ্যাং জড়িত তাদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তাহলে তাদের ধরতে হরিয়ানায় অভিযান চালানো হচ্ছে না কেন?
খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জেনেছে, যে গ্রামে তারা থাকে সেখানে লুঠের পয়সার কিছুটা অংশটা গ্রামবাসীদের মধ্যে আমোদের জন্য বিলিয়ে দেয়। ফলে দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। শুধু তাই নয়, সেখানকার স্থানীয় থানাও এতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। ফলে স্থানীয় থানাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাতে গেলেও বিপদ।
সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, রাজ্য পুলিশের কর্তারা সরাসরি হরিয়ানার রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমনভাবে অভিযান চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে যাতে স্থানীয় থানাকে এড়িয়ে সেটা করা যায়। পাশাপাশি, পুিলশি নজরদারিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy