Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

বিক্রি হচ্ছে ফোর্ট গ্লস্টার, পুরো গ্র্যাচুইটির টাকা দাবি শ্রমিকদের

এশিয়ার বৃহত্তম ওই কেব্‌ল কারখানা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। গ্র্যাচুইটির দাবিতে শ্রমিকরা গত বছর এনসিএলটি-তে মামলা করেন। সম্প্রতি এনসিএলটি তার রায়ে বলেছে, কারখানাটি কিনতে যে দু’টি সংস্থা রাজি হয়, তার মধ্যে বাউড়িয়ার একটি চটকল সংস্থার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাউড়িয়া শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৫৭
Share: Save:

১৬ বছর ধরে বন্ধ বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার কেব্‌ল কারখানা। নয়া দেউলিয়া বিধিতে ওই কারখানার সম্পত্তি নিলাম করে ব্যাঙ্কের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিল ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি)। একই সঙ্গে শ্রমিকের গ্র্যাচুইটি মেটানো নিয়েও একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, ওই নির্দেশে খুশি নন শ্রমিকেরা। তাঁরা পুরো গ্র্যাচুইটির দাবিতে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে আবেদন করেছেন। একই দাবিতে আন্দোলনে নামারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এশিয়ার বৃহত্তম ওই কেব্‌ল কারখানা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। গ্র্যাচুইটির দাবিতে শ্রমিকরা গত বছর এনসিএলটি-তে মামলা করেন। সম্প্রতি এনসিএলটি তার রায়ে বলেছে, কারখানাটি কিনতে যে দু’টি সংস্থা রাজি হয়, তার মধ্যে বাউড়িয়ার একটি চটকল সংস্থার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। কারখানা বিক্রি করে মোট পাওয়া যাবে ৭২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হবে ৬০ কোটি টাকা। মোট ১৩০০ শ্রমিকের মধ্যে ১৬ জনকে দেওয়া হবে পুরো গ্র্যাচুইটির টাকা। বাকি শ্রমিকদের প্রত্যেকের মোট পাওনার ২০ শতাংশ করে টাকা দেওয়া হবে।

এতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকেরা। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, তারা হিসাব করে দেখেছে, ১৩০০ শ্রমিকের মূল গ্র্যাচুইটি পাওনা হয় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। ১৮ শতাংশ করে বার্ষিক সুদের হিসেবে পাওনা হয় ৬০ কোটি। এনসিএলটি যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে তাতে এ সবের উল্লেখ নেই। ৬০ কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর দাবি মেনে নিতে তাঁরা আপিল করেছেন বলে শ্রমিকেরা জানান। ৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে আপিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কারখানার আইএনটিইউসি, টিইউসিসি, সিটু, বিএমএস, ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপারভাইজার অ্যাসোসিয়েশন একই ছাতার নীচে এসেছে গ্র্যাচুইটির দাবিতে।

আইএনটিইউসি-র সভাপতি আবেশ ঘোষ বলেন, ‘‘মামলা চলাকালীন শ্রমিকদের দাবির স্বপক্ষে নথি পেশ করা হয়েছিল। মামলার রায়ে তার প্রতিফলন হয়নি।’’ জনমত গঠনের জন্য চলতি মাসে আন্দোলনে নামছেন বলেও আবেশবাবু জানান। শ্রম দফতর সূত্রের খবর, নয়া দেউলিয়া বিধিতে নিলাম সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে ডাকার সংস্থান নেই। সেখানে ব্যাঙ্কগুলির দাবিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আপিল মামলায় শ্রমিকেরা তাঁদের নিজেদের বক্তব্য পেশ করার আগে কোনও নথিপত্র বা পরামর্শ চাইলে রাজ্য শ্রম দফতর সেই সহায়তা করতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Fort Gloster Strike Gratuity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE