ধৃত শৈলেশ রাই। ফাইল চিত্র
শুনানি, সাক্ষ্যদান পর্ব মিটে গিয়েছে মাস তিনেক আগেই। কিন্তু হাওড়ার নিরাপত্তাকর্মী খুনের মামলায় রায়দান হল না বৃহস্পতিবারও। সাড়া জাগানো ওই খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গত দু’বছর ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই। জেলে আছেন ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ান সঞ্জয় যাদবও।
হাওড়া আদালত সূত্রের খবর, গত তিন মাস ধরে বারবার রায়দান পর্ব পিছিয়ে যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু এ দিনও রায়দান ফের পিছিয়ে দেন হাওড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। আদালতের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়দান এত দিন কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।’’ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দানের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১০ জুলাই।
২০১৬ সালের ১৭ জুন রাত ৯টা নাগাদ মধ্য হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডে একটি বহুতলের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন বিজয় মল্লিক নামে ওই আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী। পুরো ঘটনাটি পাশের আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে। তদন্তে নেমে প্রথমেই আশপাশের এলাকা থেকে সন্দেহভাজন চার যুবককে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃতদের মধ্যে এক জন ছিল ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শৈলেশের ঘনিষ্ঠ প্রহ্লাদ সিংহ। ধৃতদের জেরা করে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ান সঞ্জয় যাদবকে ‘সুপারি কিলার’ চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
এর পরেই ওই খুনের ঘটনায় মূল চক্রান্তকারী হিসেবে উঠে আসে শৈলেশের নাম। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষী জোগাড় করে ঘটনার প্রায় এক বছর পরে গ্রেফতার করা হয় শৈলেশকে। পুলিশের দাবি, বিজয়বাবু তাঁর জমিতে প্রোমোটিং করতে বাধা দেওয়াতেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। খুন করার জন্য সঞ্জয়কে সুপারি দেন শৈলেশ। হাওড়া আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১৩ জুন শৈলেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁর জেল হেফাজত হয়। তার পর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন।
গত তিন মাস ধরে একের পর এক ‘তারিখ’ চলে যাওয়ার পরে এ দিন রায়দান হওয়ার কথা রটে গিয়েছিল। সে কারণে দুপুর থেকেই ভিড় বেড়েছিল আদালত চত্বরে। বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজনও হাজির হয়েছিলেন। সেই তুলনায় আদালত চত্বরে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন ছিল না। তবে কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলরকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy