—ফাইল চিত্র।
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন। ৬ জনের আসনে বসবে ৩ জন। কালীপুজোর আগে এই ভাবেই ঘুরতে শুরু করেছিল লোকালের চাকা। শুরুতে সে ভাবে ভিড় না থাকলেও উৎসবের মরসুম পেরিয়ে যেতেই ৩ জনের আসনে ৬ জন যাত্রী বসতে শুরু করেছেন। ব্যস্ত সময়ে দেখা যাচ্ছে চেনা ভিড়। পরিস্থিতি বুঝে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল।
রেল সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার থেকে খড়্গপুর ডিভিশনে আরও ৫১টি লোকাল ট্রেন চলবে। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “লোকাল ট্রেনে ভিড় বাড়ায় আমরা ট্রেনের সংখ্যাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৬ নভেম্বর থেকে খড়্গপুর ডিভিশনে আরও ৫১টি ট্রেন চালানো হবে।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে যে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে পাঁশকুড়া রুটের যাত্রীরা। হাওড়া-পাঁশকুড়া রুটে ৮টি, সাঁতরাগাছি-পাঁশকুড়া রুটে ১টি এবং পাঁশকুড়া-হাওড়া রুটে ৯টি অতিরিক্ত ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া হাওড়া-খড়্গপুর ৩টি, হাওড়া-মেদিনীপুর ২টি, হাওড়া-আমতা ৫টি, শালিমার-সাঁতরাগাছি ১টি, হাওড়া-মেচেদা ৩টি, পাঁশকুড়া-হলদিয়া ১টি, হাওড়া-হলদিয়া ১টি, পাঁশকুড়া-দিঘা রুটে ১টি ট্রেন বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ডাউন লাইনেও খড়্গপুর-হাওড়া ৩টি, আমতা-হাওড়া ৫টি, মেদিনীপুর-হাওড়া ২টি, মেচেদা-হাওড়া ১টি, মেচেদা-শালিমার ১টি, হলদিয়া-পাঁশকুড়া ১টি, হলদিয়া-হাওড়া ১টি, দিঘা-পাঁশকুড়া ১টি, বাগনান-হাওড়া ১টি অতিরিক্ত ট্রেন দেওয়া হয়েছে।
খড়্গপুর-মেদিনীপুর-হাওড়া ডেইলি প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক জয় দত্ত অবশ্য বলছেন, এই বৃদ্ধিতেও কাজের কাজ সে ভাবে কিছু হবে না। তাঁর দাবি, ‘‘এই রুটে ১০০ শতাংশ লোকাল ট্রেন না চললে সংক্রমণ বাড়বেই। এখন ভিড় শুরু হয়েছে। সেটা মোকাবিলায় ট্রেন কিছু বাড়লেও খড়্গপুর বা মেদিনীপুর থেকে ট্রেন খুব কমই বাড়ানো হয়েছে। তাই এতে পরিস্থিতির খুব পরিবর্তন হবে বলে মনে হচ্ছে না।”
দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রীদের জন্যও নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেনগুলিতে বিছানা দেওয়া হচ্ছে না। এ বার খড়্গপুর, হিজলির মতো স্টেশনে কিয়স্ক চালু করে একবার ব্যবহারযোগ্য বিছানা বিক্রি করা হবে। বুধবার থেকেই খড়্গপুর স্টেশনে এমন একটি কিয়স্ক চালু করা হয়েছে।
আগে ট্রেনের টিকিটের সঙ্গেই বিনামূল্যে বিছানা পাওয়া যেত। এখন টিকিটের দামে পরিবর্তন না হলেও বিছানা কেন আলাদা করে কিনতে হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। খড়্গপুর রেল ডিভিশনের এক কর্তার অবশ্য ব্যাখ্যা, “এটা রেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত। সেই মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে কিয়স্ক খোলা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy