ভুল তারিখ দিয়ে মৃত্যুর শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে স্বপনকুমার মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসকের দোষ প্রমাণিত হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। কিন্তু তার পরেও ওই চিকিৎসকের কেন শাস্তি হবে না, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন ইদলবাটি গ্রামের প্রৌঢ়া অমিতা কোনার। এ বিষয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মহকুমা এবং জেলা স্তরে তদন্ত হয়েছে। এর পরে বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদলবাটি গ্রামের বাসিন্দা প্রমথ রঞ্জনবাবুর বাবা শৈলেন্দ্রনাথ কোনার ১৯৭৮ সালের ২১ জুলাই মারা গিয়েছেন। সেই সময় তিনি মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে পারেননি। সেই শংসাপত্র যাতে পান সে জন্য প্রমথবাবু ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানান। তবে পারিবারিক বিবাদের সূত্রপাত ২১ জুলাই তারিখটা নিয়ে। প্রমথরঞ্জনবাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পুত্রবধূ অমিতা কোনারের দাবি, ‘‘পুরনো দলিলপত্র দেখতে গিয়ে জানতে পারি, স্বামীর দাদু মারা গিয়েছেন ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চের আগে। অথচ শংসাপত্রে উল্লেখ আছে ২১ জুলাই। শ্বশুরমশাই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগসাজোস করে তারিখ বদলে দিয়েছেন।’’ তখন তিনি ২০১৪ সালের শেষ দিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানান। অমিতাদেবীর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রমথরঞ্জনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর ভুলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসক স্বপনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ব্লকে আবেদনপত্রটি পাঠিয়ে দেওয়া কথা ছিল। ভুল করেই আমি সুপারিশ করে ফেলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy