—প্রতীকী ছবি।
একটু একটু করে মালুম হচ্ছে শীতের ভাব। করোনা নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা জারি রয়েছে। তার মধ্যে হুগলির শ্রীরামপুর মহকুমায় ডেঙ্গিও ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গোটা জেলায় জ্বরের পরিস্থিতি মোটের উপরে স্বাভাবিকই আছে। তবে শ্রীরামপুর মহকুমায়, বিশেষত শ্রীরামপুর এবং রিষড়া শহরে ডেঙ্গির কিছু রিপোর্ট হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যা যা করা দরকার, সবটাই করা হচ্ছে।’’
দুর্গাপুজোর সময় থেকে গঙ্গাপাড়ের পাশাপাশি এই দুই শহরে জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো জ্বরের উপসর্গও দেখা দেয়। কারও ক্ষেত্রে ডেঙ্গির সঙ্গে টাইফয়েডের লক্ষণও দেখা গিয়েছে। জ্বরের রোগীর ভিড় বাড়ছে চিকিৎসকদের চেম্বারে, হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে।
চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, এখন ঋতু পরিবর্তনের সময়। সেই কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি স্বাভাবিক ঘটনা। জ্বরের পরিস্থিতি জেলায় স্বাভাবিক দাবি করেও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছে, শ্রীরামপুর মহকুমার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের মাহেশ, জগন্নাথ ঘাট লেন, খটিরবাজার— এই জায়গাগুলিতে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। সম্প্রতি এই সব জায়গা থেকে অন্তত ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। রিষড়ার এনকে ব্যানার্জি স্ট্রিট, বাগখাল প্রভৃতি জায়গা থেকেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দিন কয়েক আগে পতঙ্গবিদ এসে শ্রীরামপুর এবং রিষড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরাও পরিদর্শন করেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মশা জন্মাতে পারে এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করা গিয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট পুর-কর্তৃপক্ষের গোচরে এনে মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কিছু পরিত্যক্ত জায়গায় জল জমা এবং তা থেকে মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ে পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। সম্প্রতি খটিরবাজারে ডেঙ্গি আক্রান্ত এক যুবক মারা যান। দুই পুর কর্তৃপক্ষেরই দাবি, করোনা নিয়ে যেমন তাঁরা সতর্ক রয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় অভিযানের ক্ষেত্রেও ঢিলেমি
দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের নির্দেশে এখন ডেঙ্গি মোকাবিলায় কার্যত বছরভর কর্মসূচি চলে। এ বারেও শুরু থেকেই তা চলছে। আবর্জনা বা নর্দমা সাফাই থেকে শুরু করে মশার লার্ভা মারতে তেল ছেটানোর কাজ চলছে। পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ‘ডেঙ্গি বিজয়’ অভিযান চলছে।
পুরকর্তাদের বক্তব্য, সাধারণ ভাবে অলিগলি বা মানুষের বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও পরিত্যক্ত ব্যক্তিগত জমি বা পুকুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। অনেকেই জমি কিনে ফেলে রাখেন। সেখানে ঝোপজঙ্গল গজায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy