Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
রিষড়ায় ছাড়া হল গাপ্পি মাছ

ডেঙ্গির হানা বলাগড়েও

ব্লক প্রশাসন সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য মশার লার্ভা মারার তেল, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন।

ব্যবস্থা: গুপ্তিপাড়ায় মশার লার্ভা মারার তেল ছড়ানো চলছে। রিষড়ায় নিকাশি নালায় ছাড়া হচ্ছে গাপ্পি মাছ (নীচে)। —নিজস্ব চিত্র

ব্যবস্থা: গুপ্তিপাড়ায় মশার লার্ভা মারার তেল ছড়ানো চলছে। রিষড়ায় নিকাশি নালায় ছাড়া হচ্ছে গাপ্পি মাছ (নীচে)। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৭
Share: Save:

রিষড়া, শ্রীরামপুরের পরে এ বার বলাগড়। শীতের মুখেও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে হুগলিতে।

বলাগড় ব্লকের কয়েকটি জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। তবে, প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ব্লকের জিরাট, মিলনগড়, একতারপুর, সিজাকামালপুর, গুপ্তিপাড়া প্রভৃতি জায়গা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে। গত কয়েক দিনে গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের অন্তত ছ’জনের রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য মশার লার্ভা মারার তেল, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। বাড়িতে কয়েক দিন ধরে কোনও পাত্রে জল জমে থাকলে তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলায় আজ, শুক্রবার বিশেষ সাফাই অভিযান করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘ডেঙ্গি যাতে আর মাথাচাড়া দিতে না পারে, সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ বিডিও সমিত সরকার বলেন, ‘‘ব্লকের কয়েকটি জায়গায় অল্প কয়েক জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। বিষয়টি নজরে রাখছি। স্বাস্থ্য দফতরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। উদ্বেগের কারণ নেই।’’

শীতের মুখেও ডেঙ্গির প্রকোপ না-কমায় উদ্বিগ্ন রিষড়াবাসীও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা রিষড়ায় এই শহরে এসে পুরসভার জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ডেঙ্গি দমনে নানা পরিকল্পনা মোতাবেক কাজও শুরু হয়েছে। বুধবার শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নর্দমা এবং বদ্ধ জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়।

পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, সার্বিক ভাবেই নিকাশি এবং আবর্জনা পরিস্কারে জোর দেওয়া হয়েছে। যেখানে ডেঙ্গির প্রভাব বেশি, সেই সব জায়গায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরের খোঁজ নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এমন কিছু জমি আছে, যার মালিক অন্যত্র থাকেন। এই সব জমি পরিস্কার করা হচ্ছে। রেলের আবাসন সাফসুতরো রাখার আর্জি জানিয়ে রেল-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। নির্মীয়মাণ আবাসনে যাতে জল জমে না থাকে, সে জন্য ঠিকাদারদের নোটিস দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, ‘‘গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ওই মাছ ছাড়া হয়েছে। আরও ২০ হাজার ছাড়া হবে।’’

তবে, পুর কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা বন্ধ কারখানার চৌহদ্দি। এই শহরে ছোটবড় মিলিয়ে কয়েকটি কারখানা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। এই সব জমিতে ঢোকা পুরকর্মীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভার তরফে ওই সব কারখানার মালিকপক্ষকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোটিস পাওয়ার পরে তাঁরা কী ব্যবস্থা নেন, তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। একটি চালু কারখানার ক্ষেত্রেও জল জমে থাকার অভিযোগ পেয়ে পুরসভা তাদের নোটিস পাঠিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Balagarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy