দিল্লি রোডের উপর ভাঙা, হতশ্রী পুরনো সেতুতেই যানবাহন চলাচল করছে। নতুন সেতুর শেষ অংশের কাজ কবে হবে? কেউ জানেন না। তার ফলে ওই পথে ভারী যান চলাচল কয়েক বছর ধরে বন্ধ। ছবি: দীপঙ্কর দে
জিটি রোড সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করেও প্রশাসন পারেনি বেআইনি দখলদারদের জন্য। ২০১৫ সালে ডানকুনি থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত দু’টি পর্যায়ে দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজে হাত দিয়েছিল প্রশাসন। সেই কাজই বা শেষ হল কই?
পাণ্ডুয়া থেকে চন্দননগর পর্যন্ত ওই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চন্দননগর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটারের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা এবং গাড়ি-চালকদের। কবে ওই অংশের কাজ শেষ হবে এরও উত্তর মিলছে না। ফলে, সড়কের দু’ধারের ছোট-বড়-মাঝারি কারখানার মালিকেরা বিপাকে পড়েছেন। রাস্তার জন্য তাঁরা কারখানায় বড় গাড়িতে শিল্পের প্রয়োজনীয় পণ্য আনতে বেগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন।
হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বর্ষা এবং অন্য কিছু কারণে ওই রাস্তার শেষ পর্যায়ের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে আর বিশেষ সময় লাগবে না। বৈদ্যবাটীতে ওই সড়কে রেলসেতু তৈরির কাজ এখনও হয়নি।আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করেছি। রাস্তা তৈরির কাজ শেষের পরেও সেতুর কাজের জন্য সমস্যা কিন্তু থেকেই যাবে।’’
প্রথম দিকে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে স্বাভাবিক গতিতেই চলেছিল। মুম্বইয়ের দু’টি সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, তত গতি কমেছে। এক সময়ে বৈদ্যবাটী থেকে ডানকুনি পর্যন্ত রাস্তার কাজ বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা প্রশাসনকে তাদের গুরুতর আর্থিক সমস্যার জন্য রাস্তার কাজ করতে অক্ষমতার কথা জানায়। বিপাকে পড়ে প্রশাসন। বিধি মেনে সেই কাজ অন্য সংস্থাকে হস্তান্তর করতে বহু সময় লেগে যায়। শেষমেশ, বছর দুয়েক আগে ভিন্ন সংস্থা ফের ওই রাস্তার কাজ শুরু করে। কিন্তু নতুন সংস্থারও কাজে সে ভাবে গতি নেই বলে অভিযোগ। তাই পাঁচ বছর আগে রাস্তার কাজ শুরু হলেও পাকাপাকি ভাবে এখনও ওই রাস্তায় পূর্ণ গতিতে গাড়ি চলতে পারছে না। ইতিমধ্যে ডানকুনি উড়ালপুল চালু হলেও অনেক জায়গাতেই কাজ অসমাপ্ত।
তার উপর রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে খোঁড়াখুঁড়ি চলেছে দীর্ঘদিন। ফলে, বহু কারখানার সামনের রাস্তায় গর্ত হয়েছিল। এখনও কিছু ক্ষেত্রে সেই গর্ত বোজানো হয়নি। রাস্তা ভাল হলে তার সুফলের দিকে তাকিয়েই স্থানীয় মানুষজন এবং ব্যবসায়ীরা তাঁদের অসুবিধা পুরোপুরি মেনে নিয়ে ছিলেন। কিন্তু এ ভাবে আরও কত দিন, এটাই প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy