ধৃত রতন ব্যাপারী ও বিনোদ দাস।
ধড়-মুণ্ড মেলেনি। নিহত বিষ্ণু মালের কাটা হাত-পা বুধবার রাতে সৎকার করল তাঁর পরিবার। তাঁকে অপহরণ করে খুনে মূল অভিযুক্ত বিশাল অধরাই।
চুঁচুড়ার রায়বেড়ের যুবক বিষ্ণু নিখোঁজ হন গত ১০ অক্টোবর। অভিযোগ, কুখ্যাত সমাজবিরোধী বিশাল দাস এবং তার শাগরেদরা বিষ্ণুকে তুলে নিয়ে যায় চাঁপদানিতে কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে। সেখানে তাঁকে খুন করে দেহ ছ’টুকরো করা হয়। দেহাংশ ব্যাগে ভরে
বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়। গত মঙ্গলবার কৃষ্ণ এবং রাজকুমার প্রামাণিক নামে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে দিল্লি রোড লাগোয়া বৈদ্যবাটী খালের পাশ থেকে বিষ্ণুর কাটা হাত-পা উদ্ধার হয়। তাদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করায় পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া দেহাংশের বুধবার ময়নাতদন্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর পরে কাপড়ে ঢেকে রাতে ওই দেহাংশ বাড়িতে আনা হয়। প্রচুর মানুষ জড়ো হন। পুলিশি পাহারায় দেহাংশ সৎকার করা হয়। কৃষ্ণ-রাজকুমারকে জেরা করে বুধবার শেওড়াফুলির বকুলতলা থেকে রতন ব্যাপারী এবং বৈদ্যবাটীর রাজারবাগান থেকে বিনোদ দাস নামে আরও দুই দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
তদন্তকারীদের দাবি, রতন এবং বিনোদও ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তদন্তকারীরা জানান, বিষ্ণুর ধড়-মুণ্ড উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জেরায় রতনেরা দাবি করেছে, ওই যুবকের কাটা মুণ্ড বিশাল নিজেই ফেলেছে। ওই দাবি ঠিক কিনা, পুলিশ তা দেখছে।
ঘটনার জেরে এলাকাবাসীর আতঙ্ক কাটেনি। সাধারণ মানুষ চাইছেন, বিশাল-সহ বাকি দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে ধরে পুলিশ উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করুক। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিশালকে ধরার সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশাল চুঁচুড়ারই এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। মেয়েটির পরিবার তা নাকচ করে দেয়। পরে বিষ্ণুর সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক তৈরি হয়। তাতেই বিষ্ণুর উপরে বিশাল খেপে যায়। বদলা নিতেই সে বিষ্ণুকে খুন করে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy