মাস্ক তৈরি চলছে চুঁচুড়ার একটি কারখানায়। —নিজস্ব িচত্র
আর ছাড় নয়। হুগলিতে রাস্তায় বেরোলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল জেলা প্রশাসন। না-পরলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আজ, সোমবার থেকে প্রচারও শুরু হচ্ছে।
করোনা নিয়ে যে সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে মুখে মাস্ক পরা ছিলই। তবে, এতদিন জেলায় তেমন কড়াকড়ি ছিল না। লকডাউন পর্বের প্রথম দিকে রাস্তায় বেরনো অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যাচ্ছিল না। জোগান না-থাকা, বাড়তি দাম নেওয়া ইত্যাদি অভিযোগ উঠছিল। গুণমান নিয়েও প্রশ্ন ছিল। তবে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইদানীং ছবিটা পাল্টেছে। রাস্তায় বেরনো বেশির ভাগ মানুষই মুখ ঢাকছেন মাস্কে। তা যে রকমই হোক না কেন।
এ বার একজনও যাতে মাস্ক ছাড়া না বের হন, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের কর্তারা জানান, রাস্তাঘাটে কেউ মাস্ক ছাড়া বেরোলে এবং তা নজরে পড়লে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। ব্যাঙ্ক, বাজার, ডাকঘর, পেট্রোল পাম্প, দোকান— ইত্যাদি যে জায়গাগুলিতে জমায়েত হয়, সেখানে কেউ মাস্ক ছাড়া গেলে তাঁকে যাতে কোনও রকম পরিষেবা দেওয়া না হয়, সে ব্যাপারে প্রচার চালানোও শুরু হচ্ছে। শহরাঞ্চলে পুরসভা এবং গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েতকেও এ কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘করোনার প্রকোপ যাতে না-ছড়ায় সে জন্যই মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেও কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। রাস্তায় বেরিয়ে কেউ না পরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে মাস্ক কেনার প্রবণতা স্বাভাবিক ভাবেই বাড়বে। ফলে, প্রশ্ন উঠছে, এ বার পর্যাপ্ত জোগান থাকবে তো? নাকি আবার মাস্ক নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠবে?
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত জোগান রাখতে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মাস্ক তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব গোষ্ঠী এবং সংস্থা এখন সেই কাজে ব্যস্ত। ফলে, এ বার ঠিক দামেই মাস্ক মিলবে। এই আশ্বাসে অবশ্য অনেকেই স্বস্তি পেয়েছেন।
কিন্তু পেট্রল পাম্পের কর্মীরা মাস্ক ছাড়া কাউকে তেল দেবেন কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচিতে হেলমেট ছাড়া কোনও মোটরবাইক আরোহীকে তেল দেওয়া নিষেধ। অথচ, রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই হেলমেট ছাড়া বাইক আরোহীদের তেল নেওয়ার প্রবণতা আটকানো যায়নি। এ বার অবশ্য ছবিটা পাল্টাবে বলে মনে করছেন পাম্পকর্মীদের একাংশ। ব্যান্ডেলের একটি পাম্পের কর্মী সাধন দাস বলেন, ‘‘এ বার আমাদেরও জীবন-মরণ প্রশ্ন। আমরা নিজেরাও তো মাস্ক পরছি। ফলে, বিনা মাস্কে তেল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক। আমরা তেল দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy