প্রতীকী ছবি।
পুজো এখনও শুরু হয়নি। অক্টোবরের গোড়া থেকেই হাওড়ায় বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। ফলে, পুজোর পরে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, উৎসবের সময়ে ভিড় লাগামছাড়া হতে পারে। পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিকে যেমন প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তেমনই উৎসবের সময়ে কোভিড-বিধি ভঙ্গ না করে যাতে মানুষ আনন্দে শামিল হন সে বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা পুজোর সংগঠকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানিয়েছেন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘উৎসবে সবাই মেতে উঠুন। তবে নিয়ম-কানুনও মানতে হবে। উৎসবের আনন্দ যাতে বিষাদে পরিণত হয় সে দিকেও সবাইকে নজর রাখতে হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাওড়ায় মোট পাঁচটি কোভিড হাসপাতালে ১৩০০ শয্যা আছে। প্রয়োজনে শয্যা বাড়ানো হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ৫ অক্টোবর জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৬০ জন। ১১ অক্টোবর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮২-তে। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা যেখানে ছিল ১১৪৪ জন, ১১ অক্টোবর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫২৪। জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আরও উদ্বেগের বিষয়, মৃত্যুর হার না কমা। ৫ অক্টোবর মারা গিয়েছিলেন ৪ জন। ১১ অক্টোবর মারা গিয়েছেন ৬ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মৃতের গড় হার এখন ২.৯ শতাংশ। এটা হওয়া উচিত ছিল ১.৯ শতাংশের কাছাকাছি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘মৃত্যুর হার না কমায় আমরা চিন্তায় আছি। অনেক ভাবেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু মৃত্যুর হার কমছে না।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, সেপ্টেম্বর থেকেই আগল খুলে গিয়েছে। বাজার-হাট, রাস্তায় গিজগিজ করছেন মানুষ। বাসে বা অটোতে ঘেঁষাঘেঁষি করে সবাই বসছেন। দূরত্ববিধ বজয়া থাকছে না। অনেকেই মাস্ক পরছেন না। এরই ফল ফলতে শুরু করেছে। উৎসব আসছে। বিধিনিষেধ না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, উৎসবের সময়ে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পুজো কমিটির কর্তাদের নিয়ে উলুবেড়িয়া রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সেখানে মূল আলোচ্যই ছিল কোভিড সতর্কতা।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, পুজো মণ্ডপগুলি থেকে মাইকে প্রচার করা, মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসব পালন— এইসব বিষয়ে পুজো কমিটিগুলিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, প্রতিটি পুজো কমিটিকে মুদ্রিত গাইড লাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভিড় হতে পরে এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতেও মাইকে প্রচার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy