প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রৌঢ়। সুস্থ হওয়ার পরে মঙ্গলবার মেয়ের সঙ্গে ট্যাক্সি চেপে বাড়ি ফেরার সময়ে আচমকাই লাফিয়ে নেমে বাসে উঠে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। হাওড়ার আলমপুরের ওই ঘটনার তদন্ত করছে বালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বালির পদ্মবাবু রোডের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের নাম সুনীল দাস। তিনি রাজচন্দ্রপুর বাজারে মাছ বিক্রি করেন। তাঁর ছোট মেয়ে মায়া জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন সুনীল। পরে তাঁকে আন্দুলের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এ দিন সকালে সেখান থেকেই মায়াকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বাবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ওই তরুণী বলেন, ‘‘বালি থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে হাসপাতালে যাই। বাবা বেরিয়ে আমার সঙ্গে ট্যাক্সিতেও উঠে বসেছিলেন।’’
তরুণীর দাবি, কিছু পরেই চলন্ত ট্যাক্সি থেকে লাফিয়ে নেমে চলন্ত বাসে উঠে পড়েন প্রৌঢ়। ট্যাক্সি ধাওয়া করে বাসকে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের আলমপুর স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়াতেই সুনীলকে নামিয়ে আনেন ট্যাক্সিচালক। তরুণীর দাবি, ফের অন্য চলন্ত বাসে উঠে পড়েন প্রৌঢ়। হাঁটাচলার সমস্যা থাকায় বাবার পিছনে দৌড়তে পারেননি মায়া। তিনি বলেন, “এর পরে শুধু আমাকেই ফোন করছেন। বলছেন, ‘তোরা আমাকে ধরতে পারলেই হাসপাতালে ভর্তি করে দিবি!’ কোথায় আছেন বলছেন না।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই প্রৌঢ়ের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান পরীক্ষা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে, তিনি কোথায়।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy