নালিশ: চুঁচুড়া থানায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। ছবি: তাপস ঘোষ
রাস্তায় স্পিড ব্রেকার তৈরি ঘিরে ঝামেলায় জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। সোমবার রাতে চুঁচুড়ার শ্যামসুন্দরপুর এলাকার ঘটনা। এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা শ্যামসুন্দরপুর এলাকার রাস্তায় স্পিড ব্রেকারের দাবি বহুদিনের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দ্রুত গতির গাড়ির ধাক্কায় প্রায়ই জখম হচ্ছেন পথচারীরা। সন্ধ্যার দিকে মোটরবাইকরে দাপট বাড়ে। উপায়ান্তর না দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানান। পাশাপাশি স্পিড ব্রেকার তৈরির জন্য পুরসভাতেও আবেদন জানানো হয়। কিন্তু দু’তরফেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিকে দুর্ঘটনা না কমায় চাঁদা তুলে স্পিড ব্রেকার তৈরির সিদ্ধান্ত নেন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার শুরু হয় কাজ। অভিযোগ, কাজ চলার সময় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকের বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, রাতে এই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেই বিজেপি সমর্থক আখতার আলির বাড়িতে হামলা চালায় একদল তৃণমূল সমর্থক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে।
পরে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আলমগির মল্লিকের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় জড়িত তৃণমূল নেতা-সহ হামলায় জড়িত সমর্থকদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিজেপি চুঁচুড়া থানা ঘেরাও করে। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।
স্থানীয় তৃণমূস নেতাদের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য পুরসভার নির্দেশকে উপেক্ষা করে কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক স্পিড ব্রেকার তৈরি করছিলেন। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বাড়িতে হামলা করা হয়নি।’’
স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা মণ্ডল সভাপতি বাপন হাজরা বলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ করে হামলা করছে আমাদের উপর।’’
হুগলি-চুঁচুড়ার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিজেরা ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার তৈরি করা যায় না। শুধু পুরসভা নয়, পুলিশ কমিশনারেটের অনুমতিরও প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy