হাসপাতাল সংস্কার, গাড়ি ভাড়া নেওয়া ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে ভুয়ো বিল করে সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ব্লক প্রশাসন থেকে বেশ কিছু গরমিলের প্রমাণপত্র-সহ ওই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জনকুমার দে-র বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগও জানানো হয়। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার জেলার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) নীলাঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তেও আসেন। জেলার মুখ্য স্বাস্ব্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ কিছু নেই। একটা খবর পেয়েছিলাম। সেই মতো তদন্ত করে দেখছি কোথাও কোনও গরমিল আছে কি না।’’ অভিযুক্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জনকুমার দে বলেন, ‘‘বাইরের যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। কোনও গরমিল বা দুর্নীতি হয়নি।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জানলার কাচ লাগানোর একটা বিল পাশ করার আগে অতিরিক্ত খরচ দেখে ব্লক প্রশাসনের সন্দেহ হয়। কাচ যিনি সরবারহ করেছেন সেই ঠিকানা জোগাড় করে ব্লক প্রশাসন তদন্তে নেমে দেখে ‘মান্না গ্লাস হাউস’ নামে কোনও সংস্থার ট্রেড লাইসেন্স তো নেই, যাঁকে মালিক দেখানো হয়েছে সেই তারকেশ্বরের পূর্ব রামনগরের অভিষেক মান্নার বয়স ১৮। ওই নামে তাঁর কোনও সংস্থা তো নেইই, চাষি পরিবারের ওই তরুণ জানেনই না তাঁর নামে হাজার হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট তাঁর পিসতুতো দাদা হাসপাতালের গাড়ি চালক অরিজিৎ জানা একবার চেয়েছিল বলে তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
অরিজিৎ জানাও ব্লকের তদন্তকারীদের লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথা মতোই তিনি ওই কাজ করেছিলেন। এই রকম হাসপাতাল সংস্কারের ক্ষেত্রে আরও কয়েকটা ভুয়ো বিলের সন্ধান পায় ব্লক প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের এক আত্মীয়ই মালপত্র সরবহার করেন। এই সব ভুয়ো বিল ছাড়াও হাসপাতালে যে সব গাড়ি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে তা কর্মাসিয়াল নয়। তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সুমনা ঘোষ বলেন, ‘‘ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাজকর্মে অনেক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy