বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আহত পঙ্কজ কুমার। নিজস্ব চিত্র
ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার সময়ে বিদ্যুতের স্তম্ভে ধাক্কা খেয়েছিল কিশোরটি। মাথায়-মুখে চোট পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল কামরার ভিতরেই। অভিযোগ, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টাই করেননি সহযাত্রীরা। পরে বিষয়টি জানতে পেরে অন্য স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার, বেলুড় স্টেশনের ঘটনা।
রেল পুলিশ জানায়, মজফ্ফরপুরের বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার (১৬) ওই রাতে ১০টা ২০ মিনিটে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালের ভেন্ডর কামরায় উঠেছিল। লিলুয়ায় ট্রেন ঢোকার আগে রেললাইনের ধারের বিদ্যুতের স্তম্ভে ধাক্কা লাগে তার। কামরার ভিতরে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায় পঙ্কজ। কিন্তু ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার পরে কোনও যাত্রী তাকে নামাননি। শেষে প্ল্যাটফর্মে থাকা আর এক যাত্রীর থেকে খবর পেয়ে রেল পুলিশের ওসি বিকাশ মুখোপাধ্যায় কর্মীদের নিয়ে বেলুড় স্টেশনে যান।
রেল পুলিশ জানায়, ট্রেন বেলুড়ে ঢুকতেই চালককে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। ভেন্ডর কামরা থেকে পঙ্কজকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তখন কয়েক জন যাত্রী এগিয়ে আসেন। এক যাত্রী ঋষি কপূর শর্মা বলেন, ‘‘পাশের কামরায় ছিলাম। লিলুয়ায় ঢোকার আগেই ভেন্ডরে চেঁচামেচি শুরু হয়। কিন্তু ওই স্টেশনে আহত কাউকে নামাতে দেখিনি। পরে বেলুড়ে পুলিশ আসায় জানতে পারি, ছেলেটি ধাক্কা খেয়ে কামরাতেই পড়ে ছিল।’’ প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পঙ্কজকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার মাথার খুলিতে চোট লেগেছে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কথা বলেন হাওড়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে। রাতেই সেখানে পঙ্কজকে ভর্তি করা হয়। এক যাত্রী রাজু সোনকরের অভিযোগ, ‘‘রাত হয়ে যাওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সও মিলছিল না। শেষে শ্রমজীবী হাসপাতালে যোগাযোগ করলে তারা অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান।’’
খবর পেয়ে শুক্রবার হাসপাতালে আসেন পঙ্কজের জামাইবাবু দীনেশ চৌধুরী। জানান, চার মাস ধরে বড়বাজারে এক মিষ্টির দোকানে কাজ করছিল পঙ্কজ। এক সপ্তাহ ধরে রাতে বেলুড়ে দিদির বাড়িতে থাকছিল। পঙ্কজকে এ দিন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে
যান পরিজনেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy