পান্ডুয়া িবদ্যুৎ দফতরের সামনে িবজেপির বিক্ষোভ। ছবি: সুশান্ত সরকার
পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভিযোগে বুধবার হুগলিতে তৃণমূল পরিচালিত বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।
একশো দিনের প্রকল্পে ‘অনিয়ম’-সহ নানা অভিযোগে সম্প্রতি হরিপালের জেঁজুর পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি, এই অভিযোগ তুলে বুধবার পঞ্চায়েতের গেটে তালা মেরে দেন বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে উন্নয়নের কাজ কিছুই হয় না। সেই নিয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। পঞ্চায়েতের কর্তাদের অবশ্য দাবি, সব ঠিকঠাক চলছে। আন্দোলনের নামে বিজেপি অকারণে রাজনীতি করছে।।
‘কাটমানি’ ফেরত-সহ নানা দাবিতে গোঘাট ১ ব্লকের শ্যাওড়া এবং খানাকুল ১ ব্লকের ঘোষপুর পঞ্চায়েতে বুধবার বিজেপির লোকজন বিক্ষোভ দেখান। দুই জায়গাতেই বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে উপভোক্তা এবং ঠিকাদারদের কাছ থেকে নেওয়া ‘কাটমানি’ ফেরত দিয়ে উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। ওই সময়সীমার মধ্যে যাবতীয় কাজের খতিয়ান দেখাতে হবে। সমস্ত প্রকল্পের উপভোক্তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। ওই সব দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয় পঞ্চায়েতে।
বিজেপি-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন পঞ্চায়েতে সরকারি প্রকল্পে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ইত্যাদি কিনে সদস্যরা টাকা লুঠ করেছেন। সব হিসেব মানুষকে দিতে হবে।’’ শ্যাওড়া পঞ্চায়েতের প্রধান বৈশাখী রায়, ঘোষপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার আলি জানান, স্মারকলিপির দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
বিদ্যুতের মাসুল কমানো-সহ কয়েক দফা দাবিতে এ দিন পান্ডুয়া, বলাগড়, মগরা, বাঁশবেড়িয়া, পোলবা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তিন মাস অন্তর নয়, প্রতি মাসে মিটার রিডিং নিতে হবে। বিপিএল তালিকাভুক্তদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। ওই সব দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়
পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের লোকেদের প্রতি বঞ্চনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি, দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো-সহ নানা অভিযোগে এ দিন হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিল বিজেপি-র ওবিসি মোর্চা। চুঁচুড়া স্টেশনের সামনে থেকে মিছিল করে খাদিনা মোড়, তোলাফটক হয়ে ঘড়ির মোড়ে যান আন্দোলনকারীরা। স্মারকলিপিতে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। অভিযোগ জানানো হয়, বিভিন্ন ব্লক অফিস এবং পুরসভায়
ওবিসি সংশাপত্র পেতে হয়রান হতে হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল-সহ অন্যরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy