প্রতিবাদে: নুন-ভাত মিল খাওয়ানোর প্রতিবাদে গান বাউলের। তা শুনতে ভিড় জমিয়েছে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
জেলার সমস্ত স্কুলে মিড-ডে মিলে নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন।
গত প্রায় এক মাস ধরে চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের মিড-ডে মিলে কোনওদিন ফ্যানাভাত, আলুসিদ্ধ কোনওদিন আবার শুধুই নুন-ভাত দেওয়া হচ্ছিল। সোমবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হয় দু’জনকে। মঙ্গলবার পড়ুয়াদের পাতে তুলে দেওয়া হয় ডিমসিদ্ধ-ভাত। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, ‘‘শুধু নুন-ভাত খেতে আর ভাল লাগছিল না। ডিম সিদ্ধ দিয়ে তবুও ভাত খাওয়া গেল।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষিকা এবং টিচার ইন চার্জ না থাকায় বাণীমন্দির স্কুলে মিড-ডে মিলে সরকারি মেনু অনুযায়ী খাবার মিলছিল না। এরপর হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় স্কুলে এসে এই ছবি দেখতে পেয়ে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনিক মহল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। স্কুলে এসে পৌঁছন স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং জেলা সদর মহাকুমাশাসক। এরপর ছাত্রীদের পাতে তুলে দেওয়া হয় ভাত, ডিমসিদ্ধ। স্বভাবতই খুশি পড়ুয়ারা। শিক্ষিকারা জানান, আজ দেরি হওয়ার কারণে ডিমের ঝোল তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বুধবার থেকে সরকারি নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়া হবে। স্কুল শিক্ষিকা পর্ণা দাস বলেন, ‘‘এ দিন অনেকটা সময় চলে যাওয়ায় ডিমের তরকারি করা যায়নি। তবে আজ, বুধবার থেকে স্কুলের মিড-ডে মিল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে।’’
তবে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে এই ধরনের অব্যবস্থা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে নজরদারি চালাতে জেলার প্রত্যেক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নাঘর এবং খাবার জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। সেইমতো চলতি মাসের শেষের দিকে চুঁচুড়ার সমস্ত স্কুলে সিসিটিভি বসানো হবে। এরপর জেলার সমস্ত স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ও খাওয়ার জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় রেখে নজরদারি চলবে।
জেলা সদর মহকুমা শাসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখন থেকে যতদিন স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা অথবা টিচার ইনচার্জ নিয়োগ না হবে, ততদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর পাঁচটা স্কুলের মতো এখানেও মিড-ডে মিলের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
স্কুলে মিড-ডে মিলের অব্যবস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে আজ সকালে স্কুলের সামনে অভিভাবকেরা এসে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, বর্ধমান থেকে হাজির হন বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত। মিড-ডে মিল সম্পর্কে সচেতননা বাড়াতে তিনি স্কুলের প্রবেশপথের সামনেই গান গাইতে শুরু করেন। তাঁর গান শুনতে চারপাশে ভিড় করে দাঁড়ায় পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষিকারা শিল্পীকে গেটের সামনে থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন জানান। একে ক্ষুব্ধ হন ওই বাউল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy