বাসিন্দারা নিজেরাই হাম্প তৈরি করছেন রাস্তায়। ছবি: দীপঙ্কর দে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি উল্টে চালক-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তিন আরোহী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরের বড়ায় ইন্দ্রখালি সেতুর কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায় মৃতের নাম মানস মিত্র (৩২) এবং দীপক কোলে (৪৭)। দীপকবাবু গাড়ির চালক। তাঁর বাড়ি সিঙ্গুরের মির্জাপুরে। মানসবাবু সিঙ্গুরেরই গোপালনগরের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গাড়িতে চালক-সহ পাঁচ যাত্রী কলকাতায় কাজ সেরে সিঙ্গুরে ফিরছিলেন। রাত ১টা নাগাদ ইন্দ্রখালি সেতুর কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মানস এবং দীপকবাবুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সিঙ্গুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সিঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর থাকায় পরে তিন জনকেই সেখান থেকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মৃতদেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কামারকুণ্ডু স্টেশনের কাছে দলুইগাছা হোটেলধারে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের ধারে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। কেউ হতাহত না হলেও দোকানের সামনে দাঁড় করানো দু’টি সাইকেল এবং একটি মোটর সাইকেলের ক্ষতি হয়। ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা ঘণ্টাদু’য়েক ওই রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য জনতাকে অনুরোধ করলেও তারা শোনেনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে হাম্প তৈরি করতে কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। এ দিন অবরোধকারীরা নিজেরাই সিমেন্টের একটি বিদ্যুতের স্তম্ভ রাস্তায় পেতে দেন। তার পরে, অবরোধে আটকে পড়া একটি ট্রাকে থাকা পাথর এবং পিচের মিশ্রণ ঢেলে হাম্প তৈরি করে ফেলেন। এর পরেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ট্রাকটি আটক এবং চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy