Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

দলের চাপে শেষ পর্যন্ত রিষড়া পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন উপপ্রধান-সহ ১৪ জন তৃণমূল সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত ওই সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৮
Share: Save:

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত রিষড়ায়

নিজস্ব সংবাদদাতা • রিষড়া

দলের চাপে শেষ পর্যন্ত রিষড়া পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন উপপ্রধান-সহ ১৪ জন তৃণমূল সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত ওই সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই ওই সিদ্ধান্ত হয়। তপনবাবু জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় নির্দেশ দিয়েছেন, অনাস্থা আনা যাবে না। সেই কথা মেনেই সবাই আবার এক সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। বৈঠকেই অনাস্থা আনা সব সদস্য চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁরা অনাস্থা তুলে নিতে চান। সোমবারই চিঠি বিডিওর হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।” উপপ্রধান বিরাজ মোল্লা জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন। রিষড়া পঞ্চায়েতের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৮টি রয়েছে তৃণমূলের দখলে, ৮টি বামেদের এবং ২টি কংগ্রেসের। তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও দলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, মুকুল রায়ের নির্দেশ অমান্য করে গত বুধবার উপপ্রধান-সহ ১৪ জন তৃণমূল সদস্য প্রধান সুমিতা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়ার বিডিওর কাছে অনাস্থ প্রস্তাব জমা দেন। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের দুই সদস্যও সামিল হন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অনাস্থার বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি। তাঁরা জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। সেই মতোই এ দিন ওই বৈঠক হয়। তবে, অসুস্থতার কারণে প্রধান ওই বৈঠকে হাজির হননি।

গোঘাটে সিপিএম নেতাকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট

দাবিমতো টাকা না দেওয়ায় গোঘাটের কামচে গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এক সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। জগন্নাথ ঘোষ নামে ওই সিপিএম নেতার প্রাথমিক চিকিৎসা হয় হাসপাতালে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জন মণ্ডল-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথবাবু তাঁর উপরে হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে জগন্নাথবাবুর বাড়িতে কয়েক জন চড়াও হয়। তাঁর ৎঘরের গ্রিল ভাঙা হয়। ঘরে বোমা এবং ইট ছোড়া হয়। এর পরেই হামলকারীরা জগন্নাথবাবুকে মারধর করে চলে যায়। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জগন্নাথবাবু জানিয়েছেন, অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তুলে মাস খানেক ধরে তৃণমূলের ছেলেরা ৪০ হাজার টাকা চাইছিল। না পেলে গ্রামে থাকতে না দেওয়ার হুমকিও দেয়। সসেই টাকা এখনও না পাওয়াতেই ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাড়িতে হামলা করে। খড় জ্বালিয়ে আগুন লাগানোরও চেষ্টা হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় মণ্ডলের দাবি, “কোনও ঘটনাই ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ।” একই সুরে গোঘাট-১ ব্লক তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পালেরও দাবি, “অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।”

দামোদরে নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ

দু’দিন ধরে নিখোঁজ হুগলির জাঙ্গিপাড়ার এক প্রৌঢ়ের দেহ মিলল আমতার রসপুর এলাকায় দামোদর নদী থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা। মৃতের নাম সুশান্ত চক্রবর্তী (৬২)। বাড়ি জাঙ্গিপাড়ার সোয়ারি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ অগস্ট সুশান্তবাবু নিখোঁজ হন। সেই রাতে উদয়নারায়ণপুরের বকপোতা সেতুতে তাঁকে কয়েক জন হাঁটতে দেখেন। তিনি কোনওভাবে নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন কি না তা দেখার জন্য তল্লাশিও করে পুলিশ। কিন্তু সুশান্তবাবুর খোঁজ মেলেনি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই রাতেই জাঙ্গিপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দামোদরে তাঁর দেহটি ভাসতে দেখেন কয়েক জন মাঝি।

মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে সহবাসের নালিশ

বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল আরামবাগের প্রফেসর পাড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় বসন্তপুর পশ্চিমপাড়ার ওই যুবতী রাজু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানান, বছর তিনেক ধরে রাজুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা। রাজু নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন রাজু বিবাহিত এবং তাঁর একটি কন্যাসন্তানও আছে। পুলিশ জানায়, যুবক পলাতক।

প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

বাড়ির বারান্দার গ্রিল থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ মিলল। শুক্রবার সকালে আমতার গাজিপুর এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম অরূপচন্দ্র চন্দ (৫০)। তিনি ইমারতি সরঞ্জামের ব্যবসা করতেন। গাজিপুরে তাঁর দোকান রয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ় পাওনাদারদের তাগাদার কারণে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন।

চোলাই রুখতে অভিযান

পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে আরামবাগের চারটি গ্রামে প্রায় ২০টি চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিল আবগারি দফতর। গৌরহাটি, সুজলপুর, অজয়পুর এবং মাধবপুর নামে ওই চার গ্রামে মদের ঠেক ভাঙার পাশাপাশি মদ তৈরির কাঁচামাল এবং অন্তত পাঁচ হাজার লিটার মদ নষ্ট করা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy