তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হরিপালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে তপ্ত হল হুগলির হরিপালের পশ্চিম গোপীনাথপুর এলাকা। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। বিজেপি কর্মীদের কয়েকটি বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ মোড়া গোপীনাথপুরে একটি শ্মশানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ব্লক তৃণমূল নেতা সুভাশিস ওরফে পাপ্পু মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন দলীয় কর্মী। অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তাঁদের ঘিরে ধরে। পাপ্পুর মাথায় টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করা হয়। লোহার রড দিয়েও তাঁকে পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অন্য দু’জনও প্রহৃত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সেখান থেকে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির ১৪ জনের বিরুদ্ধে হরিপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তৃণমূলের তরফে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কৌস্তভ দত্ত নামে এবং বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ, তৃণমূল নেতা সমীরণ মিত্র বলেন, “ওরা পরিকল্পিত ভাবে পাপ্পুকে খুন করতে চেয়েছিল। ওরা আদতে সিপিএমের লোক। এখন বিজেপি সেজেছে।” বিজেপির স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি তরুণ সেন বলেন, “কৌস্তভ সন্ধ্যায় গ্রামেই ছিল না। পুলিশ এবং তৃণমূল ক্ষমতা জাহির করে ওঁকে গ্রেফতার করল।” তাদের পাল্টা অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ধাড়াপাড়ায় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের একটি বৈঠকে হামলা চালায়। বৈঠক ভেস্তে যায়। দলের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “পুলিশ এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছে। তার ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা অবধি অন্য পক্ষ নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেনি।”
ছাত্রকে মার, বিক্ষোভ স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
সহপাঠীর হতে মার খাওয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা স্কুলে চড়াও সেই ছাত্রকে মারধর করাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল আরামবাগের চাঁদুর হাইস্কুল। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবাকে স্কুল চত্বরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সামন্ত প্রহৃত ওই ছাত্র সুব্রত মুর্মুর প্রাথমিক চিকিত্সা করান আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। বিক্ষোভের জেরে বিকাল ৪টে নাগাদ পুলিশ ছাত্রীর বাবাকে আটক করে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পর এ দিন স্কুলে আর কোনও ক্লাস হয়নি। স্কুল সূত্রে জানা গেছে, স্কুল সূত্রে জানা গেছে-এদিন সকালে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী তথা যমজ বোন নাজমুন্নেসা এবং তাজমুন্নেসার সঙ্গে একই ক্লাসের পড়ুয়া সুব্রত মুর্মুর শ্রেণিকক্ষে ঢোকার রাস্তা ছাড়া নিয়ে ঝগড়া হয়। সুব্রত তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় বলে ওই দুই ছাত্রীর অভিযোগ। এই নিয়ে তারা ঝগড়া-মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে অন্য পড়ুয়ারা তাদের থামায়। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ স্কুলে অভিভাবকদের নিয়ে এক বৈঠক হয়, যা আগেই ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, বৈঠকে এসে ওই দুই ছাত্রী নাজমুন্নেসা এবং তাজমুন্নেসার বাবা সৈয়দ মহম্মদ ফারুক মেয়েদের কাছে সব শুনে সুব্রতকে মারধর করেন। সুব্রতর চিত্কার শুনে উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা এসে ওই কাণ্ড দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সামন্ত বলেন, “ওই দুই ছাত্রীর বাবা ছাত্রটিকে চড় মারায় উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্রটির চিকিত্সা করানো হয়েছে। উত্তেজনা থামাতেই পুলিশ ডাকতে হয়েছিল। পুলিশ ওই অভিভাবককে আটক করেছে।”
ইন্ডিয়া জুট খুলতে আজ ফের বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর
বন্ধ ইন্ডিয়া জুটমিল খুলতে আজ, বৃহস্পতিবার নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছ শ্রম দফতর। বৈঠকে অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার মহম্মদ নাসিম ছাড়াও মিলের সাতটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা। প্রসঙ্গত চলতি মাসে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ।
আরামবাগে চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে দিলেন মহিলারা
গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মদের ঠেক।—নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই মদ্যপকে গ্রেফতার করা নিয়ে উত্তপ্ত হল আরামবাগের সুজলপুর গ্রাম। মদের ঠেক না ভেঙে শুধু মদ্যপদের ধরে পুলিশ দায় সারছে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় মহিলারা লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে কয়েকটি মদের ভাটি ভেঙে দেন। তাঁদের অভিযোগ, চোলাই উচ্ছেদ নিয়ে পুলিশ এবং আবগারি দফতরের কোনও উদ্যোগই নেই। বছরে একবার কি দু’বার হানা দেয়। কিন্তু পরিস্থিতি একই থেকে যায়। চোলাইয়ের ঠেকের কারণে গ্রামের দিন মজুরদের বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি লেগে আছে। বাড়ির পুরুষরা সারা দিনের উপার্জন খুইয়ে আসছে চোলাইয়ের ঠেকে। রাজনৈতিক নেতারাও এব্যাপারে উদাসীন। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা মাঠে নেমেছেন।
দামোদর নদে ডুবে মৃত ২
বুধবার সকালে দু’টি পৃথক ঘটনায় পুড়শুড়ায় দামোদরে ডুবে এক কিশোরী-সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পুড়শুড়ার শ্রীরামপুরে আত্নীয়ের বাড়ি এসে নদীতে শৌচকার্যে গিয়ে তলিয়ে যায় সালিমা খাতুন (১৪)। তার বাড়ি আরামবাগের ঘিয়া গ্রামে। অন্য ঘটনায় দেউলপাড়া এলাকায় তারকচন্দ্র ভৌমিক (৬৮)নামে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁর বাড়ি তারকেশ্বরের কানারিয়ায়। তিনিও শৌচকার্যে নদীতে নেমে ডুবে যান বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে। মৃতদেহ দু’টি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বেহাল বাগনানের নুনটিয়া থেকে গদাইপুর রাস্তায় প্রাণান্তকর যাত্রা। ছবি: সুব্রত জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy