চ্যাম্পিয়ন ইছানগরী ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাওড়া
হাওড়ার জগত্বল্লভপুরের গোহালপোতায় শেখ গোলাম নবি মেমোরিয়াল চ্যালেঞ্জ সিলভার কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হল ইছানগরী ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস। টুর্নামেন্টে হাওড়া ও হুগলির মোট ১৬টি দল অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর। উদ্বোধন করেন বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লা ও প্রাক্তন বিধায়ক বিমান চক্রবর্তী। আয়োজক জাগরী সঙ্ঘ। গত ১৫ মার্চ গোহালপোতায় হাসপাতাল মাঠে ফাইনালে জগত্বল্লভপুরের ইছানগরী ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস এবং ডোমজুড়ের রুদ্রপুর ভাইবোন সমিতির মধ্যে লড়াইয়ে ২-১ গোলে জয়ী হয় ইছানগরী ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস। প্রথমার্ধে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এর পর রুদ্রপুর গোল শোধ করে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল ম্যাচ। কিন্তু ইউনাইটেডের খেলোয়াড় শেখ কুতুবুদ্দিন একটি গোল করে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে নেন। খেলার শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন চণ্ডীমাতা ফিল্ম স্টুডিওর মালিক প্রয়াত সত্য নারায়ণ ঘোষের পুত্রবধূ মৃদুলা দেবী। প্রসঙ্গত, জগত্বল্লভপুরের এই মাঠেই শুটিং হয়েছিল উত্তমকুমার, সাবিত্রি চট্টোপাধ্যায়, জয়া ভাদুড়ি, সুখেন দাস অভিনীত ‘ধন্যি মেয়ে’ ছায়াছবির। সেই ঘটনার স্মরণে এ দিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন উপস্থিত সকলেই। ম্যান এব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন শেখ কুতুবুদ্দিন। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন রুদ্রপুরের লাল্টু খাঁ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন ডোমজুড় খাটোরা নেতাজি সঙ্ঘের গৌতম মণ্ডল। ম্যাচ পরিচালনা করেন বিপ্লব সরকার। ফাইনালে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
উলুবেড়িয়ায় পুরভোট ২৫ এপ্রিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া
উলুবেড়িয়া পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল। বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের ৯১টি পুরসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। সেখানেই উলুবেড়িয়া পুরসভার নির্বাচনের দিন জানানো হয়। সরকারি ভাবে এ জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। পুরভোটের দিনক্ষণ জানার পরেই হাওড়া জেলা প্রশাসন নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য তত্পর হয়েছে। এ দিনই অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় বসু উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক নিখিল নির্মলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে চার সহকারী পুর নির্বাচন আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। মহকুমাশাসক জানান, এ দিন থেকেই মনোনয়ন জমার দিন শুরু হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মার্চ। পুরভোট নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক। গত বছরের ২৭ জুলাই উলুবেড়িয়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। রাজ্য সরকার মহকুমাশাসককেই পুর-প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করে কাজ চালাচ্ছিলেন। পরে উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদকে যৌথভাবে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, আগে ২৯টি ওয়ার্ড ছিল। এ বার তিনটি বেড়ে হয়েছে ৩২টি ওয়ার্ড। আগের পুরবোর্ড কংগ্রেস দখল করলেও পরে কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তৃণমূলে চলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে বোর্ড চলে যায় তৃণমূলের হাতে।
জলের দাবিতে বিক্ষোভ উলুবেড়িয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া
পুর নির্বাচনের আগে জল ও নিকাশির দাবিতে সরব হলেন উলুবেড়িয়ার বাসিন্দারা। বুধবার পুর এলাকার কোথাও দেখা গেল কলের সামনে হাঁড়ি, বালতি, কলসির দীর্ঘ লাইনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মহিলারা। কোথাও জল, নিকাশির উন্নতি না হলে ‘ভোট নয়’ বলে পোস্টারও পড়েছে। বস্তুত, গরম এখনও সে ভাবে না পড়লেও পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলের সঙ্কট বেড়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলা, জামবেড়িয়া, কোটালঘাটা, কোটালঘাটা মাইতি পাড়া, তাঁতিবেড়িয়া, জগত্পুরহ-সহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষকে পাইপ লাইনের জল না মেলার জন্য মূলত নলকূপের উপরেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানেও অন্তত সাতটি নলকূপ খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলারকে বার বার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই এ দিন হাঁড়ি, কলসি, বালতি নলকূপের সামনে রেখে বিক্ষোভে নেমেছেন তাঁরা। স্থানীয় কংগ্রেস কাউনসিলার উত্তম ধাড়ার দাবি, “জলের সমস্যা নিয়ে তিনিও চিন্তিত। কিন্তু পুরসভাকে বার বার সমস্যার ব্যাপারে জানানো হলেও তা কানেই নেয়নি।” এ দিন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল বাসিন্দারা পোস্টার লিখেছেন, ‘এলাকায় জল নেই, ড্রেন নেই, পাকা রাস্তা নেই, তাই ভোটও নেই’। জল, নিকাশি নিয়ে পুরবাসীর বিক্ষোভ প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদ বলেন, “সমস্যা যে রয়েছে তা জানি। জলের সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নলকূপ কেন সারানো হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া
মূক-বধির নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে ১০ বছরের কারাদণ্ড হল এক যুবকের। ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি বাগনানের সাহারা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বুধবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভাশিস ঘোষ এই সাজা ধোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি সাহারা গ্রামে ওই নাবালিকার প্রতিবেশী আসামী অমল মাইতি তাকে খাবরের লোভ দেখিয়ে বাড়ির কাছেই একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে পালায়। পরে প্রতিবেশীরা নাবালকাকে উদ্ধার করলে সে ইশারায় তার উপরে অত্যাচারের কথা জানায়। এর পর নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অমলকে গ্রেফতার করে। এ দিন সরকারি আইনজীবী মানস কুমার দাস বলেন, “অমলের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন তিনি।”
হুগলিতে দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর
পৃথক দু’টি দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার হুগলিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শিয়াখালায় অহল্যাবাঈ রোডের ধার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত পিন্টু দাসের (২৬) বাড়ি স্থানীয় ইলিপুরে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। পুলিশের অনুমান, কোনও গাড়ির ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এ দিন সকালে তারকেশ্বরে ট্রাক থেকে আলুর বস্তা নামিয়ে রেলের ওয়াগনে তুলছিলেন ছোটু মালিক (২৪) নামে এক যুবক। সেই সময় ট্রাকের ডালা খুলে তার উপর পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবণতি হওয়ায় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশ। ছোটুর বাড়ি আরামবাগের হরাদিত্য গ্রামে। দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
ক্রিকেটে জয়ী উলুবেড়িয়া ইউনাইটেড
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাওড়া
আমতায় পানপুর নাইন সি ক্লাবের উদ্যোগে এবং পানপুর সপ্তদশ সঙ্ঘ ক্লাবের সহযোগিতায় নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উলুবেড়িয়া ইউনাইটেড ক্লাব। শুধু হাওড়া নয়, পাশ্ববর্তী হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে আটটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে মুখোমুখি হয় উলুবেড়িয়া ইউনাইটেড ক্লাব ও উলুবেড়িয়া ভ্রাতৃসঙ্ঘ। ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় উলুবেড়িয়া ইউনাইটেড। ৬ ওভারে ৭৬ রান তোলে তারা। জবাবে জেতার জন্য ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে মাত্র ৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ভ্রাতৃসঙ্ঘ। ৩৮ রানে জয়ী হয় ইউনাইটেড। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন লাল্টু এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ হন বিল্টু। দু’জনেই উলুবেড়িয়া ইউনাইটেড দলের খেলোয়াড়। ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন হিমাদ্রি বসু ও কৌশিক মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy