Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Dankuni Expressway

বোনাসে বঞ্চনা, বাড়ছে নালিশ

করোনা পরিস্থিতিতে লোকসানের কারণ দেখিয়ে বোনাসের পরিমাণ ছাঁটতে চাওয়া হচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০২:২৫
Share: Save:

হুগলির বিভিন্ন কারখানায় বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলল শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। এ নিয়ে শনিবার শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটির একটি কারখানার সামনে তারা বিক্ষোভ-সভা করল।

বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডের ধারের ওই কারখানায় লোহার যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের যে হারে বোনাস দেওয়ার কথা, তার অর্ধেকেরও কম টাকা দেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে লোকসানের কারণ দেখিয়ে বোনাসের পরিমাণ ছাঁটতে চাওয়া হচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে।

এ দিন কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ-সভায় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতির কথা বলে কোভিড পরিস্থিতিকে ঢাল করে শ্রমিকের সঙ্গে বঞ্চনা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর পরে হয়তো শ্রমিকের সঙ্গে দর কষাকষি করা হবে। উৎসবের মুখে বউ-ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শ্রমিকও হয়তো অল্প বোনাস নিতেই নিমরাজি হয়ে যাবেন। অনেক কারখানাতেই মালিকপক্ষ এই পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন।’’

ডানকুনির বামুনারিতে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানায় ঠিকাদার সরে যাওয়ায় বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে সেখানকার ঠিকা শ্রমিকদের অভিযোগ। বোনাসের পাশাপাশি অগস্ট মাসের বেতন নতুন

ঠিকাদার দেবেন কিনা এবং কাজে যোগ দিলে মজুরি পুরনো হারে মিলবে কিনা, সেই বিষয়টিও অনিশ্চিত বলে তাঁদের দাবি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ ঠিকা শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কাজ করছেন না। সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দিকে তাঁরা তাকিয়ে আছেন বলে শ্রমিক নেতারা জানান।

ডানকুনিতেই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ক্যাপসুলের খোল তৈরির একটি কারখানাতেও বোনাসের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খোলসা করে কিছু বলছেন না বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। সেখানকার আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের

এক নেতা বলেন, ‘‘শনিবার কর্তৃপক্ষের কাছে বোনাসের প্রসঙ্গ তুললে এই ব্যাপারে পরে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়।

ফলে কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে ঠিক কী ভাবছেন, বোঝা দায়।’’ অন্বয় বলেন, ‘‘রিষড়ার বাগখালে একটি রবার কেমিক্যাল কারখানায় গত বছর শ্রমিকরা ১৪ হাজার টাকা বোনাস পেয়েছিলেন। এ বার কর্তৃপক্ষ ৮ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। রীতিমতো দর-কষাকষি করে শেষ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ১০০ টাকা কমে কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছেন।’’ এ নিয়ে কোনও কারখানা কর্তৃপক্ষই মুখ খুলতে চাননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Bonus Hooghly Dankuni
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE