ধৃত মান্তু ঘোষ। —নিজস্ব িচত্র
হাত-পায়ের পরে এ বার চুঁচুড়ার রায়বেড়ের নিহত যুবক বিষ্ণু মালের কাটা ধড় উদ্ধার করল পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় শেওড়াফুলির গড়বাগানের একটি পুকুর পাড়ের ঝোপ থেকে ওই দেহাংশ উদ্ধার হয়। মান্তু ঘোষ নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, বিষ্ণুকে খুনে মূল অভিযুক্ত সমাজবিরোধী বিশাল দাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মান্তু। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ধড়টি উদ্ধার হয়েছে। তাকে নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। তবে, বিশাল এখনও অধরা। সন্ধ্যায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিহতের মুণ্ড মেলেনি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বিশাল-সহ ওই ঘটনায় জড়িত তার অন্য শাগরেদদের খোঁজে তল্লাশি জারি আছে।’’
মান্তুর বাড়ি শেওড়াফুলিতে। তদন্তকারীদের দাবি, এ দিন বিকেলে সেখান থেকেই তাকে ধরা হয়। জেরায় মান্তু জানায়, বিষ্ণুর কাটা ধড় ফেলার দায়িত্ব তার উপরে ছিল। প্লাস্টিকে মুড়ে ধড়টি সে শেওড়াফুলির গড়বাগানে যৌনপল্লির কাছে তারই বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ের ঝোঁপে পুঁতে রেখেছে। সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে গড়বাগানে তল্লাশি চালায় কমিশনারেটের একটি বিশেষ দল। মান্তুর দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকেই মাটি খুঁড়ে ধড়টি মেলে। ধড়টি পুঁতে মাটিচাপা দিয়ে তার উপরে ঝোপ এবং ইট-পাটকেল রেখে দিয়েছিল বছর পঁয়ত্রিশের ওই দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিষ্ণুকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয় গত ১০ অক্টোবর। ওই রাতেই চাঁপদানিতে কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। বিশালের নির্দেশে শাগরেদরা বিভিন্ন জায়গায় দেহাংশ ফেলে আসে। গত সোমবার রাতে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করে দিল্লি রোড সংলগ্ন বৈদ্যবাটী খালের পাশ থেকে বিষ্ণুর কাটা হাত-পা উদ্ধার হয়। পরে আরও দুই দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা সকলেই অপরাধ স্বীকার করেছে। প্রত্যেকেই জানিয়েছে, বিষ্ণুর কাটা মুণ্ড বিশাল নিজে ফেলেছে।
মান্তু পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার পরের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার সে এবং বিশাল কলকাতা বিমানবন্দরে যায়। টিকিট কেটে সে হিমাচলপ্রদেশে গা-ঢাকা দেয়। শুক্রবার সেখান থেকে ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরে। সে দাবি করেছে, বিশাল তার সঙ্গে যায়নি। বিশাল কোথায় পালিয়েছে, সে জানে না। আজ, রবিবার ধৃত মান্তুকে আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিশাল এক তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। মেয়েটির পরিবার ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। পরে মেয়েটির সঙ্গে বিষ্ণুর সম্পর্ক হয়। সেই আক্রোশেই বিশাল বিষ্ণুকে খুন করে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy