আধার কার্ড সংশোধন করার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
আধার কার্ড সংশোধনের নামে টাকা তোলার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির বলাগড় থানা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় পুলিশ, র্যাফ। শেষ পর্যন্ত টাকা চাওয়ায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এবং তাঁর মহিলা সহকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাম্প।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকে প্রচার করে জানানো হয়, আধার কার্ড সংশোধনের জন্য ক্যাম্প করা হবে গুপ্তিপাড়া মীরডাঙ্গা জিএসএফপি স্কুলে। বিভিন্ন হেয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ক্যাম্পের প্রচার করা হয়।
সেই মতো রবিবার সকালে আধার কার্ড সংশোধন করাতে হাজির হন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরে আরও ৫০০ টাকা দিতে হবে এক একটি কার্ড সংশোধনের জন্য।
অভিযোগ, যাঁরা ১০০ টাকা দিয়েছেন তাঁদের কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। এর পরই ক্ষেপে যান গ্রামবাসীরা। সেই সঙ্গে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, আধার কার্ড সংশোধন করতে কেন টাকা দিতে হবে? শুরু হয় উত্তেজনা। এর পর অভিযুক্তদের আটকে রাখা হয় ওই স্কুলের একটি ঘরে। খবর পেয়ে বলাগড় থানার পুলিশ হাজির হয় ঘটনাস্থলে। ক্যাম্প বন্ধ করে অভিযুক্ত ২ জনকে উদ্ধার করে গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ জানিয়েছেন, আধার কার্ড সংশোধনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প চলছে। পঞ্চায়েতে এসে ক্যাম্প করার জন্য জায়গা চেয়েছিলেন সুমন্ত ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি। সুমন্ত নাকি দাবি করেছিলেন, অন্তত ৬০ জন না হলে মেশিনপত্র নিয়ে আসার খরচ পোষাবে না। আর খরচ তুলতে ১০০ টাকা করে নিয়ে বুকিং করা হবে। টাকা নেওয়ার কথা শুনে পঞ্চায়েতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পঞ্চায়েত অফিসে ক্যাম্প করা যাবে না। তবে বাইরে করতে পারেন। সেই মতো সুমন্ত এবং তাঁর এক মহিলা সহকারী ক্যাম্প করছিলেন। এর সঙ্গে পঞ্চায়েতের কোনও যোগ নেই বলে দাবি বিশ্বজিতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy