নিজস্ব চিত্র
গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্পের পাইপ লাইন কেটে অবৈধ ভাবে সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠল খানাকুল-২ ব্লকের জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। যত্রতত্র লাইন কাটায় গ্রামগুলির সর্বত্র পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না। তার জেরে এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশের মদতেই এই কাজ চলছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ মানেননি।
তবে, বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে অবৈধ সংযোগ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জানানো হল মহকুমাশাসক, বিডিও, থানা এবং পঞ্চায়েতে। মহকুমা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারী বাস্তুকার শক্তিপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘দফতরের অনুমতি ছাড়া পাইপ কেটে প্রায় ৩০০ অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এটা গুরুতর অপরাধ। যথেচ্ছ সংযোগের ফলেই সব জায়গায় জল যাচ্ছে না। বিষয়টি প্রশাসনের সমস্ত মহল এবং থানায় জানিয়েছি।” বেআইনি ভাবে পাইপ লাইনের সংযোগ নেওয়া আটকাতে জনসচেতনারও আয়োজন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিডিও দেবল উপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকার জগৎপুর, বারনন্দনপুর এবং নন্দনপুর মৌজার প্রায় ২৪ হাজার মানুষের জন্য পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পটি গত বছর চালু হয়। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে ৬ লক্ষ লিটারের জলাধার তৈরি হয়। দফতর থেকে বিভিন্ন স্কুল-সহ বাছাই করা প্রায় ৬৫টি জায়গায় কল বসানো হয়। তারপরেও স্থানীয় মিস্ত্রিকে দিয়ে বেআইনি ভাবে প্রায় ৩০০ সংযোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কিছু নেতার ইন্ধনেই কিছু গ্রামবাসী মিস্ত্রি এনে বিভিন্ন জায়গায় সুবিধামতো পাইপ কেটে বাড়ির কাছে জলের লাইন নিচ্ছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে ওইসব বেআইনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পটিকে স্বাভাবিক করা হোক। পঞ্চায়েত প্রধান প্রভাস সাউয়ের দাবি, “কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের মদত নেই। কিছু মানুষ মিস্ত্রি ঢেকে বাড়িতে সংযোগ নিয়ে নিচ্ছেন। লকডাউন উঠলে বিষয়টা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধান করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy