Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

অপেক্ষা স্বরাষ্ট্র দফতরের সিলমোহরের

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গুড়াপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা  করেন গ্রামীণ এলাকা থেকে তিনটি থানাকে নতুন করে কমিশনারেটে যুক্ত করা হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫১
Share: Save:

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশিকার পরই হুগলির (গ্রামীণ) এলাকা থেকে চন্দননগর কমিশনারেটে তিনটি থানাকে নতুন করে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গুড়াপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন গ্রামীণ এলাকা থেকে তিনটি থানাকে নতুন করে কমিশনারেটে যুক্ত করা হবে। কিন্তু বিধি অনুয়ায়ী, এই পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রথমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দিতে হবে। তারপরই তিনটি থানাকে কমিশনারেটে যুক্ত করার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।

নতুন এই সংযুক্তির পর কমিশনারেট কতটা বাড়বে? তার মানচিত্রই বা ঠিক কী হতে যাচ্ছে? তার সব কিছু খুঁটিনাটি এবং রূপরেখা নির্দিষ্ট করা থাকবে সেই নির্দেশে।

মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি ঘোষণার পরই জেলায় জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই প্রস্তাবে রয়েছে, চণ্ডীতলা থানাকে কমিশনারেট এলাকায় যুক্ত করার। কিন্তু সেই ঘোষণার সঙ্গেই অবধারিতভাবে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। কারণ চণ্ডীতলায় দুটি ব্লক রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুটি ব্লককেই কী কমিশনারেট এলাকার সঙ্গে যুক্ত করা হবে? প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, ডানকুনি লাগোয়া চণ্ডীতলা-২ ব্লককে কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। চণ্ডীতলা থানা অনেকটা এলাকা নিয়ে। তাই বাকি এলাকা নিয়ে একটি নতুন থানা করা হবে।

পাশাপাশি পোলবা থানাকে কমিশনারেটে যুক্ত করা হলেও কিন্তু পোলবা, দাদপুর থানা আলাদা। ব্লক কিন্তু একটাই। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, পোলবা থানার ঠিক কতটা এলাকা কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে?

প্রশাসন সূত্রের অবশ্য খবর, এর আগে চন্দননগরের কমিশনার হুমায়ুন কবীর মগরা-সহ জেলার কয়েকটি থানাকে কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা বাদেও উত্তরপাড়া থানাকে ভেঙে কোন্নগরে একটি নতুন থানা করার প্রস্তাবও ছিল। একই সঙ্গে শেওড়াফুলি, চাঁপদানি এবং ব্যান্ডেল এলাকাকে নিয়ে আরও মোট চারটি থানা করার।

মগরা থানাকে কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়ে পুলিশের যুক্তি ছিল, ঈশ্বরগুপ্ত সেতু হয়ে নদিয়া ও চাকদহ থেকে বহু দুষ্কৃতী হুগলিতে ঢোকে। একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার সমাজবিরোধীরা ওই সেতুটিকে হুগলিতে ঢোকার ‘করিডোর’ হিসেবে ব্যবহার করে। এলাকা আলাদা হওয়ায় কমিশনারেটের পক্ষে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

চন্দননগরের কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘আমাদের প্রস্তাবটা রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে। এখন অপেক্ষা বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার।’’

এই বিষয়ে প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘প্রস্তাবে যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সম্মত হয়েছেন, তখন নির্দেশনামা পেশ হলেই সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। স্বরাষ্ট্র দফতরের চূড়ান্ত নোটিফিকেশনে হওয়ার আগে সব স্তরের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy