অভিযুক্ত: আদালতের পথে সমীর সরকার। নিজস্ব চিত্র
পোস্টার-কাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সমীর সরকার বৃহস্পতিবার আদালতে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। আদালত অবশ্য ফের জামিন নাকচ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এ দিন ধৃত ওই পুলিশ অফিসারকে শ্রীরামপুর আদালতের এসিজেএম অমর মাহাতোর এজলাসে তোলা হয়। এজলাসের তারজালের ঘেরাটোপ থেকে তিনি বিচারপতির উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ‘‘আমি কোনও দোষ করিনি। আমার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেল। আমাকে ক্ষমা করুন।’’ তাঁর জামিন নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে। বিচারক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। শেষ পর্যন্ত ধৃত সমীরবাবুকে আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ওই নির্দেশ শুনে দৃশ্যতই ভেঙে পড়েন হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের ওই দাপুটে অফিসার।
গত ২৯ জুলাই রাতে শ্রীরামপুর স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর পোষ্টার মারার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়। চন্দননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ওই অফিসার যে ভাড়ার গাড়িটি চাপতেন, তাতে চেপেই ওই কাজ করা হয়। তদন্তে নেমে ওই গাড়িটি আটক এবং চালক-সহ দুই আরোহীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা জেরায় জানান, সমীরবাবু ওই রাতে গাড়িতেই ছিলেন। এর পরেই সমীরবাবুকে ধরা হয়। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন, সঙ্গীদের বয়ান শুধু নয়, তিনি যে ওই ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত সে ব্যাপারে আরও প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। সমীরবাবু আগাগোড়া দাবি করেছেন, ধৃতেরা ভয়ে তদন্তকারীদের কাছে তাঁর নাম বলেছেন।
এ দিন আদালতে সওয়াল-জবাব শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মামলার সরকারি আইনজীবী অতনুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় ধৃত পুলিশ অফিসারের যুক্ত থাকার সব প্রমান পুলিশের কাছে আছে। আমরা আদালতকে তা জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy