Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

চুঁচুড়ায় দোকানের তালা ভেঙে এয়ারগান-গুলি চুরি, গ্রেফতার

তালা ভেঙে চুঁচুড়ার তোলাফটকের একটি বন্দুকের দোকান থেকে শনিবার রাতে চুরি হয়েছিল চারটি এয়ারগান এবং বেশ কিছু তাজা গুলি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রবিবার সকালে পোলবার মহেশপুর থেকে বস্তায় ভরা ওই চারটি এয়ারগান উদ্ধার করল পুলিশ।

এখান থেকেই চুরি যায় বন্দুক।—নিজস্ব চিত্র।

এখান থেকেই চুরি যায় বন্দুক।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share: Save:

তালা ভেঙে চুঁচুড়ার তোলাফটকের একটি বন্দুকের দোকান থেকে শনিবার রাতে চুরি হয়েছিল চারটি এয়ারগান এবং বেশ কিছু তাজা গুলি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রবিবার সকালে পোলবার মহেশপুর থেকে বস্তায় ভরা ওই চারটি এয়ারগান উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। তবে, গুলির খোঁজ মেলেনি।

ধৃতের নাম সবুজ হালদার। তার বিরুদ্ধে পোলবা থানা এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, ‘‘ধৃতকে জেরা করে তার সঙ্গে চুরির ঘটনায় আর কারা জড়িত ছিল, গুলিই বা কোথায় গেল, তা জানার চেষ্টা চলছে। কী কারণে গুলি-বন্দুক চুরি করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তোলাফটকের কামারপাড়া রোডের ওই বন্দুকের দোকানটি তৈরি হয় পঞ্চাশের দশকে। সেখানে বন্দুক, পিস্তল বা রিভলভার বিক্রির চেয়েও বেশি সারানোর কাজ হয়। রবিবার সকালে মালিক মনমোহন মুখোপাধ্যায় দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, তালা ভাঙা। সেগুলি রাস্তার পাশে নর্দমার ধারে পড়ে রয়েছে। দোকানে ঢুকে তিনি দেখেন, সারানোর জন্য রাখা চারটি এয়ারগান গায়েব। চার বাক্স গুলির মধ্যে পড়ে রয়েছে মাত্র একটি। পিস্তলেরও বেশ কিছু গুলি নেই। সারানোর জন্য রাখা আরও কিছু বন্দুক এ দিক-ও দিক পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ডাকেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে।

তার কিছু ক্ষণের মধ্যে গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে মহেশপুরের রায়পাড়ায় সবুজ হালদারের বাড়ি থেকে বস্তা ভর্তি চারটি এয়ারগান পুলিশ উদ্ধার করে। ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বস্তাটি সবুজের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। নল বেরিয়ে থাকায় তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা সবুজকে জিজ্ঞাসা করলে সে বস্তাটি ঘরে ঢুকিয়ে নেয়। গ্রামবাসীরা তখন সুগন্ধা পঞ্চায়েতের প্রধানকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ মিলিয়ে দেখে তোলাফটকের চুরি যাওয়া এয়ারগানগুলিই ওই বস্তায় রয়েছে।

মনমোহনবাবু বলেন, ‘‘দোকানে এই প্রথম চুরি হল। এখন দোকানে মূলত বন্দুক সারানোর কাজই হয়। কেউ যদি পুরনো বন্দুক বিক্রির জন্য দিয়ে যান, তা হলে সেটা থাকে। সরকারি ছাড়পত্র ছাড়া কোনও বন্দুক সারানোর জন্য নেওয়া হয় না। যারা চুরির সঙ্গে যুক্ত, মনে হয় তারা কোনও অপরাধ সঙ্ঘটিত করতে চেয়েছিল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy