নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হয়ে গিয়েছে প্রায় দু’মাস হতে চলল। অথচ, বাগনান-২ ব্লকের দক্ষিণ চক্রের স্কুলগুলিতে এখনও ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সব বিষয়ের সরকারি পাঠ্যবই অমিল। কোথাও শুধু বাংলা বই মিলেছে, তো কোথাও শুধু ব্যাকরণ, কোথাও শুধু ভূগোল বই, তো কোথাও পরিবেশ বিজ্ঞানের। মাস খানেক বাদেই স্কুলগুলিতে প্রথম ইউনিট পরীক্ষা হওয়ার কথা। ফলে, স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রী সমস্যায় পড়েছে সকলেই।
বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সমস্যার কথা ব্লকের স্কুল পরিদর্শককে বহুবার জানানো হলেও সমাধান হচ্ছে না। ব্লক স্কুল পরিদর্শক সন্তু ফৌজদারের দাবি, “ওই সব বই জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের সরবরাহ করার কথা। তাদের বহুবার জানানো হয়েছে। তারা পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ না করলে আমরা পাব কোথা থেকে?” সর্বশিক্ষা মিশনের হাওড়া জেলা প্রকল্প আধিকারিক বোলান ভট্টাচার্য আবার দাবি করেছেন, “এমন অভিযোগ জানা নেই। যারা পাঠ্যপুস্তক পায়নি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
“এমন অভিযোগ জানা নেই। যারা পাঠ্যপুস্তক পায়নি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দ্রুত
দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
বোলান ভট্টাচার্য, প্রকল্প আধিকারিক, জেলা সর্বশিক্ষা মিশন
গোটা জেলার কয়েকটি স্কুলে একই সমস্যা রয়েছে। তবে, সমস্যা সবচেয়ে প্রকট বাগনান-২ ব্লকের দক্ষিণ চক্রেই। ওই চক্রের অধীনে ২৪টি স্কুল রয়েছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সব পাঠ্যবই বিনামূল্যে স্কুলগুলিতে সরবরাহ করতে শুরু করে। জানুয়ারিতে শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিকেই সেই পাঠ্যবই রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে জেলা সর্বশিক্ষা মিশন দফতরের মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে স্কুলে স্কুলে তা পৌঁছে দেওয়া হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষেও তেমনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই চক্রের অধীন স্কুলগুলিতে বই সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
ওই চক্রের বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৮টি বিষয়ের পাঠ্যবই এবং অষ্টম শ্রেণির জন্য ৯টি করে পাঠ্যবই দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই তিনটি শ্রেণি এখনও অর্ধেক বইও পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী এপ্রিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ওই সব শ্রেণির প্রথম ইউনিট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।
ওই চক্রের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁরা ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি, ভূগোল, বিজ্ঞান ও বাংলা এই চারটি বিষয়ের বই পায়নি। সপ্তম ও অষ্ঠম শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তিনি বলেন, “কী ভাবে যে পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের তৈরি করা যাবে ভেবে পাচ্ছি না। বইয়ের জন্য অনেকবার ব্লক স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই হল না।” আর একটি স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “আগের শিক্ষাবর্ষের ওই সব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের থেকে বই চেয়ে চালাতে হচ্ছে।” এক ছাত্র বলে, “বই না থাকায় বাড়িতে ঠিকমতো পড়তে পারছি না।”
ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, সকলেই চান দ্রুত সমস্যা মিটুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy