ফাইল চিত্র।
কোষাগারের বেহাল দশার জন্য কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ে বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। উন্নয়নমূলক কাজও প্রায় স্তব্ধ গত তিন বছর ধরে। এ বার তাই আয় বাড়াতে বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করল হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০৭ সাল থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা সম্পত্তিকর বকেয়া পড়ে রয়েছে। এই টাকা আদায় করতে যাঁরা সম্পত্তিকর বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
সোমবার পুরসভায় সম্পত্তিকর নিয়ে এক বৈঠকের পরে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টাকার অভাবে পুরসভার কর্মীদের ঠিক সময়ে বেতন দিতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজও মাঝপথে থমকে গিয়েছে। অথচ কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিকর বকেয়া পড়ে রয়েছে। এ বার সেই তালিকা তৈরি করে সম্পত্তিকর আদায়ের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, সম্পত্তিকর দেননি এ রকম প্রায় ৪৬০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হাওড়া শহরের কিছু শিল্পপতি ও বড় সংস্থার মালিকও রয়েছেন। যাঁদের ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সম্পত্তিকর বাকি রয়েছে পুরসভার কাছে। তাঁদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
সম্পত্তিকর আদায় ছাড়া কোষাগারের ঘাটতি মেটাতে ‘দুয়ারে মিউটেশন’ ও সংযুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং নম্বর বা ঠিকানা দিয়েও পুরসভার তরফে সম্পত্তিকর আদায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। কারণ, সংযুক্ত এলাকায় অনেক জলাজমিতে বাড়ি তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেগুলির এত দিন কোনও মিউটেশন হয়নি। ২০০৭ সাল থেকে সম্পত্তিকরও দেননি বাড়ির মালিকেরা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, দুয়ারে মিউটেশন করার সময়ে বকেয়া সম্পত্তিকর দিলেই বাড়িগুলির হোল্ডিং নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। হোল্ডিং নম্বর দেওয়ার জন্য ফর্ম আগেই দিয়ে আসবেন পুরকর্মীরা।
অন্য দিকে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে ফের হাওড়ার আবাসন বা বহুতলগুলিতে শিবির করে মিউটেশন দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। আগে এটি সপ্তাহে তিন দিন হত। এখন থেকে এই শিবির সপ্তাহে ছ’দিন করা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy